এই মাত্র পাওয়া :

কওমী মাদ্রাসা হলো মানুষ গড়ার কারিগরঃ-(কামুরল ইসলাম)


প্রকাশের সময় :২২ এপ্রিল, ২০১৭ ১১:২৬ : অপরাহ্ণ 1183 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন,সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কওমী মাদরাসার শীর্ষ আলেমদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন।কোনো হেফাজত নেতা হিসেবে আলেমরা ওই বৈঠকে অংশ নেয়নি।তিনি বলেন,সেদিন প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছিলেন কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডের সঙ্গে।তবে তাদের কেউ কেউ ঘটনাচক্রে হেফাজতের সঙ্গেও সম্পৃক্ত।শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় এক সমাবেশে খাদ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন। আলোচনার সভার আয়োজক বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি নামে ধর্মভিত্তিক একটি দল।সভায় কওমী মাদরাসার সর্বোচ্চ সনদ দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দেয়ার প্রসঙ্গটিও তুলে ধরেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম।খাদ্যমন্ত্রী বলেন,অনেক পত্রপত্রিকায় সাংবাদিকরা লেখালেখি করছে যে আওয়ামী লীগ হেফাজতের সঙ্গে বৈঠক করেছে।কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল।প্রধামনন্ত্রীর ডাকে সবাই সম্মিলিতভাবে কওমী মাদরাসা বোর্ডের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে।আওয়ামী লীগ নয়,বিএনপিই হেফাজতকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের চেষ্টা করেছে বলেও মন্তব্য করেন খাদ্যমন্ত্রী।তিনি আরও বলেন,কওমী মাদরাসা জঙ্গি,সন্ত্রাস সৃষ্টি করে না।যারা জঙ্গি তারা ভুল শিক্ষা থেকে বিপথগামী হয়।কওমী মাদরাসা মূলত ইসলামের শিক্ষা আলো ছড়ায়।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন,পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে অনেক আগেই কওমী মাদরাসার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু ধর্ম সম্পর্কে না জেনেই অনেকে মন্তব্য করেন।গত ১১ এপ্রিল গণভবনে কওমী মাদরাসা শিক্ষাবোর্ড বেফাকুল মাদারাসিল আবারিয়ার চেয়ারম্যান আহমেদ শাহ শফীর নেতৃত্বে কওমী আলেমদের একটি দল গণভবনে যায়। সেখানে কওমী মাদরাসার আরও কয়েকটি বোর্ডের কর্তাব্যক্তিরাও অংশ নেন।বৈঠকেই প্রধানমন্ত্রী দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্সের সমমান দেয়ার ঘোষণা দেন।আহমেদ শাহ শফীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ওই বৈঠকের ছবি প্রকাশের পর সরকার হেফাজতের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছে কিনা-এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয় কানাঘুষা।আহমেদ শাহ শফী কওমী মাদরাসার শিক্ষাবোর্ডের প্রধান হলেও তার অন্য একটি পরিচয়ও আছে।২০১০ সালে আহমেদ শাহ শফীকে প্রধান করে নারী নীতি বিরোধী আন্দোলন গড়ে তোলে কওমী মাদরাসা কেন্দ্রীক রাজনৈতিক দলগুলো।তখনই গঠন করা হয় হেফাজতে ইসলামী।২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে হেফাজত কর্মীদের অবস্থান এবং দিনভর তাণ্ডবের ঘটনায় সংগঠনটি আলোচনায় আসে।এরপর থেকে গত চার বছর ধরেই হেফাজত প্রসঙ্গ গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনার একটি বিষয়বস্তু।হেফাজত নেতারা চাইছেন, দেশ চলবে ইসলামী চেতনার ভিত্তিতে।আধুনিক রাষ্ট্র ও বিচার ব্যবস্থার বদলে তারা কোনআন-সুন্নাহভিত্তিক শাসন কায়েম করতে চায়।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
November 2025
MTWTFSS
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর