এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: বান্দরবানে গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে ‘জুলাই যোদ্ধাদের কথন’ শীর্ষক আলোচনা সভা মেধাবী শিক্ষার্থী ছাইনুমে মারমার পাশে দাঁড়লো পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ জুলাই পুর্নজাগরণঃ রোয়াংছড়িতে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বান্দরবানে মাছরাঙা টেলিভিশনের ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপিত বান্দরবানে সেনাবাহিনীর উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত মাইলস্টোন বিমান দুর্ঘটনায় নিহত উক্যছাইং মার্মাকে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন রোয়াংছড়িতে তরুণকে পাথর ছুড়ে মেরে হত্যাঃ লাশ খালে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ জুলাই পুনর্জাগরণ ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানঃ বান্দরবানে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত

আসন নিয়ে বৈরিতা, ঐক্যফ্রন্ট ছাড়ছেন মন্টু-সুব্রত!


প্রকাশের সময় :২৩ নভেম্বর, ২০১৮ ২:২৯ : অপরাহ্ণ 665 Views

নিউজ ডেস্কঃ- নানা বিপত্তির মধ্যে এবার ঐক্যফ্রন্টের ভূখণ্ডে ভাঙনের ঘনঘটা। গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের মাত্র ৫ আসনের শর্তে রাজি হওয়া এবং আসন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে অন্য নেতাদের বনিবনা না হওয়ায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দু’জন গুরুত্বপূর্ণ নেতা আওয়ামী লীগে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পরিস্থিতি বিবেচনায় ঐক্যের ওই দুই নেতা আওয়ামী লীগে যোগদানের বিষয়ে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিতে দু’দিনের সময় নিয়েছেন বলেও জানা গেছে। ওই দুই নেতা হলেন- মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী।

সূত্র জানায়, ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য গঠন হলেও বিএনপি গণফোরামের জন্য মাত্র ৫টি আসন ছাড় দিতে চায়। মাত্র ৫টি আসন খুবই নগণ্য হলেও বিষয়টি মেনেও নিয়েছেন ড. কামাল। এদিকে যে প্রক্রিয়ায় ঐক্যফ্রন্টের বৃহত্তম শরিক বিএনপি পুরো জোটই দখল করে ফেলেছে তা নিয়ে দু‘জনের মধ্যেই অসন্তোষ থাকার কারণে তারা ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে দেয়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেন। অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্টে আসন ভাগাভাগি নিয়ে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে এই দুই নেতা ঐক্যফ্রন্ট ছেড়ে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

এদিকে মন্টু ও সুব্রত চৌধুরী দু’জনই ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের বিশ্বস্ত দুই সহচর বলেই পরিচিত ছিলেন। মোস্তফা মহসীন মন্টু হলেন ড. কামালের দল গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক। আর সুব্রত চৌধুরী হলেন, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি। মূলত তাদের দু’জনের কারণেই নিভু নিভু অবস্থায়ও টিকে ছিলো গণফোরাম।

জানা গেছে, মোস্তফা মহসীন মন্টু ঢাকার কেরানীগঞ্জের দু’টি আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু দুটি আসনে দলীয় নেতাদের মনোনয়ন দিতে চায় বিএনপি। মন্টুর আগ্রহের একটি আসনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় মনোনয়ন পেতে পারেন। আরেকটি আসনে মনোনয়ন পেতে পারেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান আমান উল্লাহ আমান। বিএনপি কোন অবস্থাতেই মন্টুকে দু’টি আসন ছেড়ে দিতে রাজি নয়। ২০ নভেম্বর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে মন্টুর সঙ্গে বিএনপি নেতাদের কথা হলেও কোন সমঝোতা না হওয়ায় ২১ নভেম্বর এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলেও সূত্র জানিয়েছে।

অন্যদিকে সুব্রত চৌধুরী যে আসনে মনোনয়ন চান সেখানে বিএনপি মনোনয়ন দিতে ইচ্ছুক তাদের অপর জোট ২০ দলের শরিক এলডিপির কর্নেল (অব.) অলি আহমেদকে। জানা গেছে, অলি আহমেদ কোনোভাবেই তার আসন ছেড়ে দিতে রাজি নন। এছাড়া বিএনপি দাবি করেছে, ওই আসনে সুব্রত চৌধুরীর কোন জনপ্রিয়তাও নেই।

এই পরিপ্রেক্ষিতে মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরীর আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী একজন নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে আওয়ামী লীগের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছেন। তবে তারা ঐক্যফ্রন্টে আসনের জন্য আরও দু’দিন সময় চেয়েছেন বলেও জানা গেছে।

এ প্রসঙ্গে ঐক্যের আরেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্নার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত রাতে ঐক্যফ্রন্টে মোস্তফা মহসীন মন্টু ও সুব্রত চৌধুরীর আসন নিয়ে একটি আলোচনা হয়েছিলো কিন্তু এর প্রেক্ষিতে তারা ঐক্যফ্রন্ট থেকে বের হয়ে যেতে চাইছেন কিনা সে বিষয়ে আমার এখনও কিছু জানা নেই। বিষয়টি পুরোপুরি অবগত হওয়ার পরে জানাতে পারবো। তবে তারা যদি এরকম সিদ্ধান্ত নিয়েই থাকেন, বিষয়টি অত্যন্ত লজ্জার।

এ প্রসঙ্গে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
August 2025
MTWTFSS
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!