শিশুরা যেন ঝরে না পড়ে,তাই আশ্রয়কেন্দ্রে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষক


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৬ জুলাই, ২০২২ ১২:২৬ : পূর্বাহ্ণ 296 Views

শুধু তাই নয়,বিনামূল্যে তাদের বই,খাতা,কলমও কিনে দিয়েছেন।শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাসের এমন উদ্যোগে আশ্রয় কেন্দ্রে থাকা শিশুদের পাশপাশি তাদের অভিভাবকরাও খুশি।জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসের শেষের দিকে ভারি বর্ষণ ও উজান থেকে নেমে আসা ঢলে সৃষ্ট বন্যায় বড়লেখা উপজেলায় ২০০ গ্রাম প্লবিত হয়।এতে বাড়ি-ঘর ছেড়ে মানুষজন পরিবার নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেন।এর মধ্যে দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে ৫৪ পরিবার আশ্রয় নেয়।এসব পরিবারে শিশুরাও আছে।সেসব শিশুদের যাতে পড়ালেখায় ক্ষতি না হয় তাই আশ্রয় কেন্দ্রে পড়াচ্ছেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস।

গত ২২ জুন থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করেন তিনি। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত দুটি শিফটে চলে পাঠদান।

সরেজমিন দেখা গেছে,বিদ্যালেয়র একটি কক্ষে ১৭ জন শিশুকে পড়াচ্ছেন শিক্ষক।এর মধ্যে দুজন মাদরাসার এবং ১৫ জন উপজেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষার্থী।এ সময় তাদের ইংরেজি বিষয়ে পড়াচ্ছিলেন শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস।এর আগে তাদের গণিত ও বিজ্ঞান বিষয়ে পাঠদান করেন দাসেরবাজার উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মো.হাসিম আলী।বই, খাতা,কলম পেয়ে এবং নিয়মিত পড়ালেখা করতে পেরে খুশি শিশুরা।অভিভাবক শামীম আহমদ ও আবুল হোসেন বলেন,কবে বন্যার পানি নামবে।কবে স্কুল খুলবে তার কোনো ঠিক নেই।স্যারের এই ক্লাস নেওয়ায় বাচ্চারা খুব উপকৃত হবে।

শিক্ষক দীপক রঞ্জন দাস বলেন,আমার বিদ্যালয়ে ৫৪ পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।এসব পরিবারের শিশুরা আছে।বন্যায় বাড়িঘর ছেড়ে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে এসেছে।বন্যায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ।এর মধ্যে খেলাধুলারও পরিবেশ নেই।শিশুরা সারাদিন আশ্রয় কেন্দ্রে বন্দি সময় কাটাচ্ছিলো।এভাবে দীর্ঘদিন থাকলে এসব শিশুদের মনে বিরূপ প্রভাব পড়ে পারে।অনেকের ঝরে যাওয়ারও সম্ভবনা থাকে।তাই শিশুদের পাঠদানের উদ্যোগ নিই।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
March 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!