
দেশে প্রথমবারের মতো বান্দরবানের বৃহৎ প্রাকৃতিক বনাঞ্চল সাংগু ও মাতামুহুরী এলাকার সংরক্ষিত বন রক্ষায় হেলিকপ্টারের মাধ্যমে বীজ ছিটানোর কার্যক্রম শুরু হলো। এসময় গর্জন,চম্পা,চাপালিশ,জারুলসহ বিলুপ্ত প্রায় ৩০ প্রজাতির ৫ লক্ষ গাছের বীজ হেলিকপ্টার থেকে ছিটানো হয়।মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) সকালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সহায়তায় বান্দরবান ও লামা বন বিভাগের উদ্যোগে হেলিকপ্টারের মাধ্যমে দুটি রিজার্ভ বনের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এসব বীজ ছিটানো শুরু হয়।চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মেদ আব্দুল আউয়াল সরকার বলেন,বিট্রিশ আমলের পর এই প্রথম রিজার্ভ বন এলাকা রক্ষায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।রিজার্ভ বনের যেসব এলাকায় গাছের সংখ্যা কম এসব এলাকাতেই হেলিকপ্টার থেকে বীজ ছিটানো হয়েছে।এছাড়া আলীকদম উপজেলার আলীকদম-পেয়ামুহুরী সড়কের বিস্তীর্ণ সাঙ্গু রির্জাভ এলাকায় ফলজ,বনজ ও সৌন্দর্য্য বর্ধনকারী বিভিন্ন প্রজাতির চারা রোপন করা হবে।বান্দরবানের আলীকদম সেনা জোনে আয়োজিত এই কর্মকাণ্ডে প্রধান অতিথি হিসবে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনীর বান্দরবান রিজিয়নের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জিয়াউল হক। এসময় চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক মোহাম্মেদ আব্দুল আউয়াল সরকার, বান্দরবান বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, লামা বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস. এম. কায়চারসহ সেনাবাহিনী, বনবিভাগ ও সরকারী বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।উল্লেখ্য,পরিবেশ বিপর্যয়, চোরাকারবারির উৎপাত,অপরিকল্পিত জুম চাষ সহ নানা কারণে প্রাকৃতিক এই রিজাভ ফরেস্ট এখন অনেকটাই উজার হতে বসেছে।