বান্দরবানে তিন উপজেলা লকডাউন


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৫ মার্চ, ২০২০ ২:০৬ : অপরাহ্ণ 615 Views

বান্দরবানে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবেলায় লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন। পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হওয়ায় মঙ্গলবার (২৪ মার্চ) রাত ৮টা থেকে বান্দরবানের এই তিনটি উপজেলার সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম জানান, বান্দরবানের তিনটি উপজেলার পার্শ্ববর্তী কক্সবাজারের চকরিয়ায় করোনা ভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবেলায় বান্দরবান জেলার লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি ৩টি উপজেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

তবে লামার সঙ্গে আলীকদম উপজেলার যোগাযোগ ব্যবস্থা সীমিত পরিমাণে খোলা থাকবে। ইতিমধ্যে বান্দরবান জেলার সাতটি উপজেলায় সেনাবাহিনী মাঠে নেমেছে। ওষুধের দোকান, মুদি দোকান ছাড়া অন্যসব ধরনের দোকানপাট বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

তবে বান্দরবান জেলায় এখনও কোনো রোগী শনাক্ত হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রয়োজনে সবগুলো উপজেলা লকডাউন করা হবে। আপাতত পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক রয়েছে।

এ দিকে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে সেনাবাহিনী, পুলিশ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে একটি সমন্বয় সভা হয়েছে। সেখানে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

সিদ্ধান্তগুলো হচ্ছে দোকান বন্ধ রাখা, কোথাও জটলা তৈরি না করতে দেয়া, নিত্যপ্রয়োজনীয় কাঁচাবাজার সীমিত রাখা, সাপ্তাহিক বাজারে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া একাধিক ব্যক্তিকে বাজারে আসতে না দেয়া। এ সব সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে স্থানীয় প্রশাসনকে সেনা সদস্যরা সহযোগিতা করতে মাঠে নেমেছে।

বান্দরবান ৬৯ সেনা রিজিয়নের কর্মকর্তা মেজর ইফতেখার বলেন, জেলা সদর এলাকায় ৫টি সেনা পেট্রোল টিম সার্বক্ষণিক টহলে রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন এলাকার সেনা ক্যাম্পের সদস্যরাও জনসমাগম না করতে মাইকিং এবং পোস্টার লাগিয়ে স্থানীয়দের মাঝে সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। মাস্ক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দিচ্ছেন।

সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জানান, মহামারী করোনা ভাইরাস ঠেকাতে চিকিৎসক ও নার্সদের পিপিই (ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম) পর্যাপ্ত রাখা হয়েছে। তবে করোনাভাইরাস রোগ শনাক্তে যে কীটের প্রয়োজন সেগুলো এখনও হাসপাতালে নেই।

বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। জেলার মোট ৫০ জনকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে সদর হাসপাতালে ৬ জন, থানচি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২ জন এবং আলীকদম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১ জন। বাকি ৪১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
January 2024
M T W T F S S
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!