

৩য় ধাপে ইউপি নির্বাচনে আলীকদমে ৪টি ইউনিয়নে সতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন।এর মধ্যে ৩ জন আওয়ামীলীগ বিদ্রোহী ও ১ জন বিএনপি সমর্থিত। তার মধ্যে উপজেলা যুবলীগ সভাপতি আনোয়ার জিহাদ চৌধুরী, উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ কফিল উদ্দীক এবং উপজেলা শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খামলাই ম্রো বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামীলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল ১২ নভেম্বর তাদের বহিষ্কার আদেশ দেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগ।
বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা, জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহ্বায়ক কেলু মং মার্মা এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের স্বক্ষরিত পত্রে তাদের বহিষ্কার আদেশ দেন।
দলীয় শৃঙ্গলা ও গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে অবস্থান নেওয়ায় তাদের বহিষ্কার করেছে বলে মন্তব্য করেছে আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জামাল উদ্দীন।বহিষ্কার আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে আলীকদম উপজেলা আওয়মীলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের নিয়ে আ.লীগ বিচলিত নয়। তাদের নির্বাচনী প্রচার প্রচারণায় আ.লীগের কোন নেতা কর্মী কোন ধরনের হস্তক্ষেপে করবে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।
এইনিয়ে এতোদিন বহিষ্কারের শঙ্কা মাথায় নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় থাকলেও বিদ্রোহী প্রার্থীরা এখন দল থেকে বহিষ্কৃত হওয়ায় আ.লীগ মনোনিত ৪ প্রার্থীকে কোণঠাসা করতে বেশ জুরালো প্রচারণা চালাচ্ছে সতন্ত্র প্রাথীরা । আর তা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগ।
গত ৪ নভেম্বর আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি মংব্রাচিং মারমা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি বিদ্রোহী প্রার্থী আনোয়ার জিহাদ চৌধুরীকে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে না নিলে বহিষ্কারের হুশিয়ারি দেন জনসম্মুকে। তিনি ১নং ইউপিতে দলীয় মনোনয়ন পাওয়া মোঃ নাছির উদ্দীনের জনসভায় হুশিয়ারি উড়িয়ে নেতা কর্মীদের বিদ্রোহী প্রার্থীকে প্রতিহত করার ডাক দেন।কিন্তু ওই আ.লীগ সভাপতি নিজেই এখন সাংগঠনিক কাজ থেকে অব্যাহতি লাভ করেছেন। আ.লীগ মনোনিত প্রার্থীকে ভোট না দিতে প্রচারণা চালানোর অভিযোগে গত ১১ নভেম্বর তাকে অব্যহতি দেওয়া তাকে। তিনি এটা তার বিরোদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে মন্তব্য করেছেন।
একদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী সামাল দেওয়া অন্যদিকে দলীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়ীত্বে থাকা আ.লীগ সভাপতি মনোনিত প্রার্থীকে ভোট না দিতে প্রাচারণার অভিযোগে সাংগঠনিক কাজ থেকে অব্যাহতি। এতে আলীকদম উপজেলা আওয়ামীলীগ বেশ অস্বস্তিতে রয়েছে বলে মনে করছে নাম প্রকাশে অনিইচ্ছুক এক আওয়ামীলীগ প্রবীন নেতা, তিনি মনে করেন দলীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী,তাদের দেখাদেখিতে সমান্যে আরো বিদ্রোহী প্রার্থীর জম্ম নিতে পারে।
এদিকে ১১ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসীল অনুযায়ী প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ওই দিন ৪ নং কুরুকপাতা ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী কুরুকপাতা ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি কানপুং ম্রো তার মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
অন্যদিকে আলীকদম ১নং সদর ইউপি এবং ৩ নং নয়াপড়া ইউপির বিদ্রোহী প্রার্থী মনোনয় প্রত্যাহার করা থেকে বিরত থাকে। ফলে তাদের ১২ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় দল থেকে বহিষ্কারের ঘোষনা দেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ক্য শৈ হ্লা, জেলা আওয়ামী যুবলীগ আহ্বায়ক কেলু মং মারমা এবং জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের স্বক্ষরিত পত্রে।বহিস্কৃত ওই তিন নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে কোন ধরনের মন্তব্য করতে চায়নি।
প্রথম দিকে বিএনপি সমর্থীত কেউ নিবার্চন যোগ দিবে না জানা গেলেও বিএনপির প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান এবার ৩য় ধাপে ইউপি নির্বাচনে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনী মাঠে থাকছেন।








