আলীকদমে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের অভিযানে ৮৪ হাজার ঘনফুট পাথর ও ক্রাশিং মেশিন জব্দ!


এস,এম,জুয়েল (আলীকদম) প্রকাশের সময় :৩ এপ্রিল, ২০২০ ৯:৩২ : অপরাহ্ণ 474 Views

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় লামা বন বিভাগের আওতাধীন মাতামুহুরী রেঞ্জের, পরিবেশ অধিদপ্তর ও বন বিভাগের অভিযানে ৮৭ হাজার ঘনফুট পাথর ও একটি ক্রাশিং মেশিন নষ্ট করেদেন এবং ১টি ক্রাশিং মেশিন জব্দ করা হয়েছে।

বুধবার ও বৃহস্পতিবার দু’দফায় পরিচালিত এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন বান্দরবান পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট একেএম ছামিউল আলম কুরশী ও মাতামুহুরী রেঞ্জ কর্মকর্তা জহির উদ্দিন মোঃ মিনার চৌধুরী।

পরিবেশ অধিদপ্তরের সিনিয়র কেমিস্ট একেএম ছামিউল আলম কুরশী বলেন, বান্দরবান জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযানে অত্যাধুনিক একটি ক্রাশার মেশিন ও ৮৪ হাজার ঘনফুট জব্দ করা হয়। এছাড়াও আরেকটি ক্রাশার মেশিন নষ্ট করা হয়েছে।

অভিযানকালে পাথর ভাঙ্গার কাজে ব্যবহৃত শাবল, খন্তি, বারুদ, মেচ ও ৩টি মোবাইল জব্দ করা হয়। এ অভিযানে বন বিভাগ, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থা ও সাংবাদিকরা সহযোগিতা করে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পাথর উত্তোলনকারীদের নামের তালিকা গোপনীয়ভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। অচিরেই সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে।

সরেজমিন জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বুজিখাল, ছোট বেতী, বড় বেতীসহ একাধিক পয়েন্ট হতে পাথর আহরণ করে নির্মাণাধীন একটি সরকারি প্রকল্পে বিক্রি করা হচ্ছিল।

মাতামুহুরী রিজার্ভ হতে পাথর উত্তোলন ও পাচার কাজে সক্রিয় রয়েছে চকরিয়ার বিত্তশালী তিন ব্যক্তিসহ স্থানীয় একাধিক ব্যবসায়ী।

গত ২৩ মার্চ প্রধান বন সংরক্ষকের কাছে সুনির্দিষ্ট ৫ জনের নামোল্লেখ করে স্থানীয় তিন ব্যক্তি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ অভিযোগের অনুলিপি বান্দরবান জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন প্রশাসনিক দপ্তরে পাঠানো হয়।

অপরদিকে, জাফর আলম, ও ফজল কাদের নামে দু’জন ক্রাশার মেশিনের মালিক গত ২২ মার্চ স্থানীয় একটি প্রশাসনে এক লিখিত অভিযোগে চারজন পাথর ব্যবসায়ীর নাম উল্লেখ করেন।

এতে বলা হয়, বাবুল, নাছির, আদা ফরিদ ও ইলিয়াছের সাথে চুক্তি অনুযায়ী তারা বড় বেতী এলাকায় ৩০ হাজার ঘনফুট পাথর ক্রাশিং করেছেন।

ছোট বেতী এলাকার বাসিন্দা তুপান মুরুং অভিযোগ করেন, চকরিয়া ও আলীকদমে চিহ্নিত কয়েক ব্যক্তি ছোট বেতী ও বড় বেতীতে কয়েক লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর অবৈধভাবে মজুদ, ক্রাশিং ও বিক্রির কাজে জড়িত।

এর আগে বন বিভাগের অভিযানে বড় বেতী, ছোট বেতী ও বুঝি এলাকা থেকে কয়েক লক্ষাধিক ঘনফুট পাথর জব্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সেসব পাথরের অধিকাংশই পাথরদস্যুরা চুরি করে নিয়ে গেছে।

পরিবেশ অধিদপ্তরের বান্দরবান কার্যালয়ের সিনিয়র কেমিস্ট বলেন, অভিযানের পর মামলার প্রস্তুতি চলছে। বান্দরবান ফিরে আমরা অভিযানে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরিবেশ আইনে মামলা দায়ের করবো।

তিনি বলেন, বান্দরবানের বিভিন্ন ঝিড়ি-ঝর্না থেকে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!