![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2023/05/Picsart_23-05-10_19-11-25-378.jpg)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের বান্দরবান জেলার লামা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সাবরিনা তারান্নুম মেঘলার আত্মহত্যার দুই মাসের মাথায় এবার আত্মহত্যা করলেন রুপসীপাড়া ইউনিয়নের দরদরী স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার সায়েদা আক্তার মিলি।
আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে মধুঝিরিস্থ নিজ বাসার শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এর ২১ ঘন্টা আগে মিলি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘তোমার হৃদয়ের ক্ষতকে তোমার ভালোবাসার পদ্ধতি সংজ্ঞায়িত করতে দিয়ো না’-এমন একটি আবেগময় স্ট্যাটাস নিজ নামীয় আইডি থেকে পোস্ট করেন। সায়েদা আক্তার মিলি লামা পৌরসভা এলাকার মধুঝিরি গ্রামের বাসিন্দা মো. আবুল কালাম ও লামামুখ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা পাপিয়া সুলতানা রুপনার মেয়ে। গত ৬ মাস আগে রাঙ্গামাটি জেলার বাসিন্দা কায়সার আহমদের সাথে বিয়ে হয় সায়েদা আক্তার মিলির। দুই মাসের মাথায় দুই উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসারের মৃত্যুর বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
পারিবারিক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমাবার বিকালের দিকে সায়েদা আক্তার মিলিকে পারিবারিক বিষয় নিয়ে মা পাপিয়া সুলতানা রুপনা বকাঝকা করেন। এক পর্যায়ে মঙ্গলবার সকালে মা স্কুলে যাওয়ার পর বেলা ১১টার দিকে ঘরে থাকা ছোট ভাই জিসানকে দোকানে নাস্তা আনতে পাঠিয়ে ঘরের বীমের সাথে ওড়না পেছিলে গলায় ফাঁস দেন মিলি। কিছুক্ষণ পর ছোট ভাই জিসান নাস্তা নিয়ে ঘরে ফিরে বোন মিলিকে ঘরের বীমের সাথে ঝুলতে দেখে প্রতিবেশীদের সহযোগিতায় দ্রুত উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক মিলিকে মৃত ঘোষণা করেন। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনার আগেই মিলির মৃত্যু হয় বলে জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত আবাসিক চিকিৎসক মো. রোবীন।এদিকে স্বামী কায়সারের সাথে সম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মিলির মনোমালিন্য চলে আসছে।এর জের ধরে হয়ত মিলি অভিমান করে আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা প্রতিবেশীদের।
এ বিষয়ে লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, মৃত মিলির লাশের প্রাথমিক সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান সদর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনার তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।