শিরোনাম: বান্দরবানের প্রথম পেশাদার ম্যারাথন কমিউনিটি “বান্দরবান হিল রানার্স” এর টিম জার্সি উন্মোচন করলেন নবাগত ইউএনও মারুফা সুলতানা বান্দরবানে মন্দির উৎসর্গ ও পঞ্চ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা উৎসব অনুষ্ঠিত রাজধানীর সোবহানবাগ থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার গ্রেফতার ক্রীড়া উন্নয়ন ফোরামের শুভেচ্ছা উপহার পেলো প্রাথমিক ফুটবলের ক্ষুধে জেলা চ্যাম্পিয়নরা শীতার্থদের মাঝে ত্রিবেণী লেডিস ক্লাবের শীতবস্ত্র বিতরন প্রাইম ব্যাংক জাতীয় স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠিত বান্দরবানের প্রাচীন বৌদ্ধ অনাথালয় পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড.এম সাখাওয়াত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

তৈন রেঞ্জের দুই কর্মকর্তাসহ তিন জনকে সাময়িক বহিষ্কার


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ মে, ২০২৪ ১১:৫৭ : পূর্বাহ্ণ 251 Views

বান্দরবানের লামা বন বিভাগের তৈন রেঞ্জের দুই কর্মকর্তাসহ তিন জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।বন বিভাগের সৃজিত বাগানের গাছ বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়।বান্দরবান বন বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বহিষ্কৃতরা হলেন—তৈন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী,বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও বাগান মালি অলক কুমার সেন।বন বিভাগের তথ্যমতে,১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘেঁষা কাঁকড়াঝিরি এলাকার খাস ভূমিতে সেগুনসহ অন্যান্য প্রজাতির বনজ গাছের বাগান সৃজন করা হয়।পরে ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে ওই এলাকার ফাঁকা স্থানে একই প্রজাতির বনজ গাছের বাগান সৃজন করে বন বিভাগ।১০ বছরের ব্যবধানে সৃজিত বাগানের মধ্যে প্রথম ধাপে ৬০০ একর ও পরবর্তী ধাপে ৪৫০ একর খাস ভূমিতে বাগান সৃজন করা হয়।যা লামা বন বিভাগের তৈন রেঞ্জের আওতাভুক্ত।সেসময় কাঠ পাচার করতে এক্সক্যাভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে চোরাই রাস্তা তৈরি করা হয়।খবরটি তৈন রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা ও বাগান মালিকে জানিয়েছিল স্থানীয়রা।কিন্তু তারা সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।এ কারণে চোরাই রাস্তা ব্যবহার করে কাটা গাছের কাঠগুলো লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর ও কাঠালছড়া হয়ে চকরিয়ার মালুমঘাটের দিকে নিয়ে গেছে চোরাকারবারির।

এ বিষয়ে তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী জানান,গাছ কাটা ও পাচারের বিষয়ে বিট কর্মকর্তা কিংবা বাগান মালি তাকে অবগত করেনি। এছাড়া,সাময়িক বহিস্কার সংক্রান্ত কোনো নোটিশ পাননি বলেও জানান তিনি।

এদিকে গাছ বিক্রির ঘটনা ও সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল।তিনি বলেন,৪ ও ৬ ধারায় ঘোষিত খাস ভূমিতে বন বিভাগের সৃজিত বাগানের সেগুনসহ অন্যান্য মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির ১৮৭টি গাছ কাটা হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।এ ঘটনায় চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশ কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।এসব ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া গাছ বিক্রির ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে তিনজনকে সাময়িক বহিস্কারও করা হয়েছে।তিনি আরও জানান,কেটে নেয়া গাছগুলোর কাঠ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
February 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!