এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: জেলা শহরে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে ১ জনকে জরিমানা করলো মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে নানা আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত গভীর রাতে আগুনে বলিবাজারের অন্তত ১৩ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই রেইচা সেনা চেকপোস্টে রোহিঙ্গা নারীসহ ভুয়া এনজিও কর্মী আটক বান্দরবানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রচারনা অভিযান হেডম্যান নুরুল হক এর শারীরিক খোঁজখবর নিতে ছুটে গেলেন জেলা বিএনপি আহবায়ক রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী বান্দরবান পৌরসভা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে কাজ করবোঃ অধ্যাপক থানজামা লুসাই

তৈন রেঞ্জের দুই কর্মকর্তাসহ তিন জনকে সাময়িক বহিষ্কার


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১৮ মে, ২০২৪ ১১:৫৭ : পূর্বাহ্ণ 410 Views

বান্দরবানের লামা বন বিভাগের তৈন রেঞ্জের দুই কর্মকর্তাসহ তিন জনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।বন বিভাগের সৃজিত বাগানের গাছ বিক্রিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়।বান্দরবান বন বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।বহিষ্কৃতরা হলেন—তৈন রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী,বিট কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক ও বাগান মালি অলক কুমার সেন।বন বিভাগের তথ্যমতে,১৯৮৬-৮৭ অর্থবছরে মাতামুহুরী সংরক্ষিত বনাঞ্চল ঘেঁষা কাঁকড়াঝিরি এলাকার খাস ভূমিতে সেগুনসহ অন্যান্য প্রজাতির বনজ গাছের বাগান সৃজন করা হয়।পরে ১৯৯৬-৯৭ অর্থবছরে ওই এলাকার ফাঁকা স্থানে একই প্রজাতির বনজ গাছের বাগান সৃজন করে বন বিভাগ।১০ বছরের ব্যবধানে সৃজিত বাগানের মধ্যে প্রথম ধাপে ৬০০ একর ও পরবর্তী ধাপে ৪৫০ একর খাস ভূমিতে বাগান সৃজন করা হয়।যা লামা বন বিভাগের তৈন রেঞ্জের আওতাভুক্ত।সেসময় কাঠ পাচার করতে এক্সক্যাভেটর দিয়ে পাহাড় কেটে চোরাই রাস্তা তৈরি করা হয়।খবরটি তৈন রেঞ্জের বিট কর্মকর্তা ও বাগান মালিকে জানিয়েছিল স্থানীয়রা।কিন্তু তারা সে বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।এ কারণে চোরাই রাস্তা ব্যবহার করে কাটা গাছের কাঠগুলো লামা উপজেলার ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নের বনপুর ও কাঠালছড়া হয়ে চকরিয়ার মালুমঘাটের দিকে নিয়ে গেছে চোরাকারবারির।

এ বিষয়ে তৈন রেঞ্জ কর্মকর্তা খান জুলফিকার আলী জানান,গাছ কাটা ও পাচারের বিষয়ে বিট কর্মকর্তা কিংবা বাগান মালি তাকে অবগত করেনি। এছাড়া,সাময়িক বহিস্কার সংক্রান্ত কোনো নোটিশ পাননি বলেও জানান তিনি।

এদিকে গাছ বিক্রির ঘটনা ও সাময়িক বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল।তিনি বলেন,৪ ও ৬ ধারায় ঘোষিত খাস ভূমিতে বন বিভাগের সৃজিত বাগানের সেগুনসহ অন্যান্য মূল্যবান বিভিন্ন প্রজাতির ১৮৭টি গাছ কাটা হয়েছে।বিষয়টি তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।এ ঘটনায় চলমান অভিযানে এ পর্যন্ত দুই-তৃতীয়াংশ কাঠ উদ্ধার করা হয়েছে।এসব ঘটনায় ছয়টি মামলা দায়ের হয়েছে। এছাড়া গাছ বিক্রির ঘটনায় জড়িতের অভিযোগে তিনজনকে সাময়িক বহিস্কারও করা হয়েছে।তিনি আরও জানান,কেটে নেয়া গাছগুলোর কাঠ উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!