শিরোনাম: বর্ণিল আয়োজনে পালিত হলো ভিক্টরি টাইগার্স (৫-ইবি) এর ৫৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মশাল মিছিল জেলা মডেল মসজিদ স্থাপনে প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করলেন ধর্ম উপদেষ্টা লামায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা ও জরিমানা রোয়াংছড়িতে প্রবারণা পূর্ণিমায় সেনাবাহিনীর আর্থিক অনুদান ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ বান্দরবানে সমাপ্ত হলো দুইদিনের প্রবারণা উৎসব নাইক্ষ্যংছড়িতে ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ ফুটবল টুর্নামেন্ট ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত প্রবারনা পূর্নিমা ও কঠিন চীবর দান উপলক্ষে স্থানীয় খেলোয়াড় ও ক্রীড়া সংগঠকদের মতবিনিময় ও শুভেচ্ছা উপহার বিতরন

ডা.জাফরুল্লাহ’র অভিমত:বর্জন করে কিছুই অর্জন করতে পারবে না বিএনপি


নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৯ জানুয়ারি, ২০১৯ ৩:২৮ : অপরাহ্ণ 556 Views

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভূমিধ্বস পরাজয়ের পর এবার স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। তবে বিএনপির এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাননি ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

তার মতে, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ না নিলে বিএনপি ঐতিহাসিক ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটাবে। নির্বাচন বর্জন করে কিছুই করতে পারবে না বিএনপি। বরং এভাবে ভুল পথে চলতে থাকলে বিএনপি এক সময়ে কর্মী শূন্য হয়ে পড়বেও বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন বর্ষীয়ান এই নেতা।
স্থানীয় নির্বাচনে ভেঙ্গে পড়া বিএনপির জন্য মহৌষধ দাবি করে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতীয় নির্বাচনে বিপর্যয়ের অর্থ এই নয় যে প্রতিবার ঠকবে বিএনপি। যে সরকারের ওপর ভরসা করে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিয়েছিল, সেই সরকারকে আরেকবার বিশ্বাস করার জন্য আমি বিএনপিকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। জাতীয় পর্যায়ে হাতে গোনা নেতারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পান। কিন্তু স্থানীয় নির্বাচনগুলোতে তৃণমূল পর্যায়ের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। মূলত রাজনীতি টিকে থাকে তৃণমূলের অবদানে। রাজনীতিতে টিকে থাকতে হলে তৃণমূলের চাহিদাকে বিএনপির হিসেব করতে হবে। স্থানীয় নির্বাচনে বিএনপির অবস্থান না থাকলে উপজেলা-জেলা ভিত্তিক রাজনীতিতে ভাটা পড়বে। নেতারা বাধ্য হয়ে অন্য দলে যোগদান করবেন বা বিদ্রোহ করবেন। যা বিএনপির জন্য শুভকর হবে না। আমি খোঁজ-খবর করে জানতে পেরেছি, সারাদেশের বিএনপি নেতারা স্থানীয় নির্বাচনের পক্ষে। নির্বাচন করে জয়ী হয়ে মাঠ নিজের দখলে রাখতে উৎসাহী বিএনপি। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তে তারা হতাশ। কারণ প্রতিনিধিত্ব করা ছাড়া মাঠের রাজনীতিতে টিকে থাকা সম্ভব নয় বলে মনে করছেন নেতারা।
ডা. জাফরুল্লাহ আরো বলেন, পরাজয়ে ভীত হয়ে বিএনপির তরফ থেকে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করলে পরোক্ষভাবে সেটি তৃণমূল নেতৃত্বের ওপরই অনাস্থা প্রকাশ করা হবে। সরকার ও কমিশনের দায়িত্ব হলো সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যবস্থা করা। সেটি তারা করবে। অন্যান্য দলের প্রতিনিধিরা নির্বাচনে অংশ নিবে এবং বিএনপি দূরে থাকবে, এমন পরিস্থিতিতে দলটির নেতা-কর্মীরা হতাশ হয়ে পড়বেন। কারণ যারা রাজনীতি করেন তারা তো বসে থাকবেন না। বিষয়টি তো এমন নয় যে, নির্বাচন বর্জন করলেই সবকিছু নিজেদের আয়ত্তে চলে আসবে। বরং নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে প্রতিনিধিত্ব করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
বিএনপির তরফ থেকে আন্দোলনের কথা বলা হচ্ছে, কিন্তু সেটি দৃশ্যমান নয়। স্থানীয় নির্বাচনে অংশ নিলে সেটি হবে আন্দোলনের একটি অংশ। অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় জ্বালাও-পোড়াও করে অন্তত জনসমর্থন পাওয়া যাবে না। যা করতে হবে সেটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই করতে হবে। সেক্ষেত্রে কোন নির্বাচন বাদ দেয়া যাবে না। পালিয়ে যাওয়ার অর্থ এই নয় যে আপনি নিরাপদ। লড়াই করে প্রতিনিধিত্ব করাটাই রাজনীতির মুখ্য উদ্দেশ্য বলে আমি মনে করি। বিএনপির আর পালানোর কোন পথ খোলা নেই। নির্বাচন বর্জন করে কোন কিছুই অর্জন করতে পারবে না তারা।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!