

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের যুগ্ন সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ বলেছেন,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরে ১৯৯৭সালে ২রা ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন যার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তির সুবাতাস বয়ে এনেছিলেন।পাহাড়ী-বাঙালী ভাই ভাই আমরা সবাই একসাথে পাহড়ে কাজ করে যাবে।এটাই সবার লক্ষ্য।সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করে যাচ্ছি।কিন্তু আমি অবাক হয়ে গেলাম শুনে।যারা এখনো তাদের দাবির নামে অস্ত্র হাতে নিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করছেন,তাদের উদ্দেশ্যে আমরা পরিষ্কার ভাবে বলে দিতে চাই,অস্ত্র কোনদিন শান্তির ভাষা হতে পারে না।অস্ত্রের ভাষা কখনো দাবি আদায়ের ভাষা হতে পারে না।আপনাদের কোনা সমস্যা কিংবা দাবি থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হতে পারে।সমাধানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দরজা সব সময় খোলা।সব সমস্যা আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করুন।অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসী কার্যক্রম করলে আপনারা সন্ত্রাসী হিসেবে বিবেচিত হবেন।আমরা জঙ্গিবাদের শিখর উপরে ফেলেছি, আমরা রাষ্ট্রকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি বানাতে দিতে পারি না।
এখনো যারা ভুল পথে হাটছেন তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ অস্ত্রের ভাষা ছেড়ে দিয়ে আলোচনায় বসুন।আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের সমাধানের পথ খুজুন। আলোচনার মাধ্যমেই সমাধানের পথ খুজে পাওয়া যাবে। অস্ত্রের ভাষা দিয়ে সমাধানের পথ খুজে পাওয়া যাবে না।
পৃথিবীর কোথাও কেউ অস্ত্র দিয়ে রাজনৈতিক সুবিধা আদায় করতে পারে নাই।বাংলাদেশের পারবে না।আমরা অনুরোধ করবো যারা এখনো ভুল পথে চলছেন তারা সঠিক পথে চলে আসুন।তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে (১৫ জানুয়ারী) রাঙামাটি ক্ষুদ্র ইনষ্টিটিউটে জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।তিনি নেতা কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন,আপনাদের বিচলিত হওয়ার কোন কারণ নাই, বর্তমান সরকার দেশে শান্তি,শৃঙ্খলা বজায় রাখতে বদ্ধ পরিকর।বর্তমান সরকারের আমলে যে কোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব।ইতিমধ্যে তা প্রমাণিত হয়েছে।আমরা আপনাদের বলতে চাই নির্ভয়ে,নিশ্চিন্তে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে যান।এরপরও যদি আমাদের নেতা কর্মীদের উপরে যদি কোনো বিচ্ছিন্নভাবে সমস্যা হয়, তার মোকাবেলা কিভাবে করতে হয় তা আমরা জানি। এই দেশে অন্যায় করে কেউ পার পাবে এটা হবে না। দেশের নাগরিকদের সার্বিক নিরাপত্তার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের প্রচলিত আইনে ব্যবস্থা গ্রহন করবে।জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদারের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি,এনামুল হক শামীম,উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম,উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ জেলা উপজেলা ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। এসময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক মাফুজুল হায়দার রোটন,সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু উপস্থিত ছিলেন।সভায় মাহবুবুল আলম হানিফ আরো বলেন,সংবিধান অনুযায়ী এবছরের ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচন হবে,২০১৪সনে নির্বাচনের আগে আদালত জামাতকে নিষিদ্ধ করায় বিএনপি পাকিস্তানের নির্দেশ ছাড়া তারা নির্বাচনে অংশ নিতে পারেনি।কারন জামাত বিএনপি এরা পাকিস্তানের সৃষ্টি ও পাকিস্তান দ্বারা পরিচালিত।বর্ধিত সভায় আওয়ামীলীগের উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া বলেন,শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের পর চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ৪৮ধারা বাস্তবায়ন হয়েছে বাকি ১৫টি ধারা আংশিক বাস্তবায়িত হয়েছে।পার্বত্য এলাকা বাংলাদেশের জাতীয় সম্পদ,এখানে ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বসবাস আওয়ামীলীগ সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ^াসী বলে চুক্তি করেছে।আমাদের শক্তি হচ্ছে,শান্তি,সম্প্রীতি সৌহার্দ্য ও ঐক্য। তাই দলমত নির্বিশেষে সবাইকে উন্নয়নের স্বার্থে আগামী নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করতে হবে।আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন,রাঙামাটি আওয়ামীলীগকে নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র চলছে,যে আওয়ামীলীগ নৌকার সাথে আছে বঙ্গবন্ধুর সাথে আছে, শেখ হাসিনার সাথে আছে সেই আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদের সাথে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।তিনি সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আগামী নির্বাচনে রাঙামাটিতে নৌকাকে বিজয়ী করতে নেতা কর্মীদের প্রতি আহবান জানান।বর্ধিত সভায় জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার অভিযোগ করেন,অবৈধ অস্ত্রধারীদের হুমকির মুখে অনেক নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভায় যোগ দিতে রাঙামাটি আসতে পারেনি।আলোচনা সভার পুর্বে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন নেতৃবৃন্দ,পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেন তারা।