

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-আমার নাড়ী নক্ষত্র বলতে গেলে বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড এর কাইচতলীতে (যা হলুদিয়া নামে বেশী পরিচিত)।এই হলুদিয়ায় আমার নানাবাড়ি,নানাবাড়ি থেকে স্রেফ পাঁচ-ছয় কিলোমিটার সামনে গেলেই আমার দাদাবাড়ি।আমার দুর্ভাগ্য আমি আমার দাদা-দাদী কে দেখতে পারিনি কারণ ৮৫ তে আমার জন্মের আগেই উনারা ইন্তেকাল করেন।কিন্তু আমার জন্ম টা হয়েছে নানাবাড়িতে,সৌভাগ্যের বিষয় প্রচুর আদর স্নেহ ভালোবাসা পেয়েছি আমার নানা নানীর কাছ থেকে,ভীষণ ভালোবাসতো আমাকে,বলতে গেলে নানীকে ছাড়া কিছুই বুঝতে পারতাম না,এই চারজনই ইন্তেকাল করেছেন এবং আমি দোয়া করি মহান করুনাময় আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন তাদের কে জান্নাতুল ফেরদৌস দান করুণ।
এবার মূল প্রসঙ্গে আসি এই কাইচতলী-হলুদিয়ারই একজন কৃতি সন্তান এম.এ.খায়ের নিজামী,একজন দুবাই শহরের প্রতিষ্ঠিত প্রবাসী ব্যাবসায়ী ব্যাক্তিত্ব,সম্পর্কের দিক থেকে যিনি আমার মামা হয়,যিনি ব্যাক্তিগত ভাবে আমার সাথে যখনই কথা বলেন অত্যন্ত স্নেহ আর নিষ্কন্টক ভালোবাসার আদর মাখানো শব্দ #বাবা-#বলো বলে সম্ভোধন করেন,তিনি সেই প্রবাস জীবন থেকেই হলুদিয়ার উন্নয়নে রশিদা শরীফ কল্যাণ ট্রাস্ট নামে একটি আর্ত-মানবতা ও সামাজিক কল্যাণ মূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন ২০১৩ সালের অক্টোবর মাসের ১ তারিখে।এই প্রতিষ্ঠানটি আত্মপ্রকাশ হওয়ার পর থেকেই হলুদিয়া না শুধু,সমগ্র ৪নং সুয়ালক ইউনিয়নের জনগণের জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে বিভিন্নভাবে ভূমিকা রাখছে।
আর্তমানবতার সামাজিক কল্যাণে সমগ্র সুয়ালক ইউনিয়নের যে বা যারাই যখন কোনও সমস্যা নিয়ে মামাকে স্বরন করেছেন আমার জানা মতে তিনি তাদের কাওকেই শুন্য হাতে ফিরিয়ে দেননি।তিনি তাঁর জায়গা থেকে তাঁর প্রতিষ্ঠানটি কে এতটাই পরিচ্ছন্ন রেখেছেন যার কারনে এই প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কখনও কোনও অভিযোগ কেউ তুলতে পারেনি এবং আমি গভীরভাবে বিশ্বাস করি আল্লাহর রহমতে আগামীতেও পারবেনা।এখানে উল্লেখ্য ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠাতা এম.এ.খায়ের নিজামী স্বল্প সময়ের জন্য মাত্র চারদিন আগে দেশে ফিরেছেন।আমি দারুণ খুশী এই জন্যই যে আমার মামা টা তাঁর প্রতিষ্ঠান টি কে নিজের সন্তানের মতো করেই তীলে তীলে গড়ে তুলেছেন এবং আমি নিশ্চিত এই প্রতিষ্ঠান একদিন নট অনলি হলুদিয়া অর সুয়ালক,সমগ্র চট্টগ্রাম বিভাগেই তাঁর দুরদর্শীতা দিয়ে আলোকিত করবে এবং সমগ্র বাংলাদেশেও এর সুনাম ছড়িয়ে পরবে ইনশাল্লাহ।হলুদিয়ার মসজিদ/মাদ্রাসা/গরীব শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা নিশ্চিত করতে সহায়তা সহ নানা সময়ে দেশের বিভিন্ন দুর্যোগকালীন সংকটে চাল/ডাল/তেল পর্যন্ত গরীব দুঃখী মানুষের হাতে তুলে দিয়েছেন সকল প্রকার দলমতের উর্ধ্বে উঠে।
আমি অনেকদিন ধরে ভাবছিলাম আমার মামাকে বলবো আমার নিউজ সাইটটাকে তাঁর মিডিয়া পার্টনার হিসেবে দায়িত্ব দিতে কিন্তু বলতে পারছিলাম না কারণ আমার মামা মানুষটা ভীষণ প্রচার বিমুখ একজন মানুষ,তারপরেও উনার সহকর্মীরাই একধরনের জোর করে উনার কার্যক্রম গুলোর ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট করে দেয়।আমি আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিনের দরবারে দুই হাত তোলে দোয়া করছি রশিদা শরীফ কল্যাণ ট্রাস্ট আরও বৃহৎ আকারে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করার সামর্থ্য অর্জন করুক।আমার কেনও জানি মনে হয় আগামী দুই থেকে চার বছরের মদ্ধে এটি এমন একটা জায়গায় পৌঁছে যাবে যা আমরা কেউ কল্পনা করছিনা তেমন একটি জায়গায়।এখানে আরেকটি বিষয় যুক্ত না করলেই নয় আগামীকাল শুক্রবার (১৯ জানুয়ারী) ট্রাস্টের তরফ থেকে কাইচতলী তুলাতুলি এলাকায় দুইশো গরিব ছিন্নমূল পরিবারকে কম্বল বিতরণ করার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যে সুসম্পন্ন করেছেন ট্রাস্টের প্রতিষ্ঠাতা এম.এ.খায়ের নিজামী মামা।
পরিশেষে রশিদা শরীফ কল্যাণ ট্রাস্ট এর প্রতিষ্ঠাতা প্রিয় এম.এ.খায়ের নিজামী মামার সুস্বাস্থ্য এবং দীর্ঘ আয়ু কামনা আজকের মতো শেষ করছি।দোয়া করি আল্লাহ্ আমাদের সবাইকে ভালো থাকার তাওফীক দান করুণঃ-(আমীন)
লুৎফুর রহমান (উজ্জ্বল)
চিফ এডিটর,সিএইচটি টাইমস ডটকম।
বান্দরবান পার্বত্য জেলা।
***প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব।সিএইচটি টাইমস-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে।তাই মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার জন্য সিএইচটি টাইমস.কম কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না***।