

বান্দরবানে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অর্থায়নে এবং সার্বিক সহায়তায় অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে ছাগল বিতরণ কর্মসূচি শুরু হয়েছে।সোমবার (২১ মার্চ) বান্দরবান জেলা প্রশাসন চত্বরে গ্রাউসের ব্যাবস্থাপনায় বাস্তবায়িত এই কর্মসূচির উদ্বোধন ঘোষণা করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।এসময় বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া আক্তার সুইটি,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.কায়েসুর রহমান,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ (বান্দরবান) সিনিয়র ম্যানেজার স্টিফেন হালদার রোভেন,গ্রাউসের নির্বাহী পরিচালক চাইসিং মার্মা এসময় উপস্থিত ছিলেন।এসময় বান্দরবানের জেলাপ্রশাসক মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত মুক্তির উৎসব ও সুবর্ণজয়ন্তী মেলার এই সময়ে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় আয়োজিত কর্মসূচি কে স্বাগত জানিয়ে বলেন,আমাদের অতিদরিদ্র পরিবারের মানুষরা এতে উপকৃত হবে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নের একটি ক্ষুদা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হলে সরকারের পাশাপাশি সবাইকে উদ্যোগ নিতে হবে এবং অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে হবে।আমি এই কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জানাই।এই ধরনের সহায়তা অসহায় পরিবারগুলোর জন্য কিছুটা হলেও সচ্ছলতা তৈরিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে এমনটাই আমি বিশ্বাস করি।এছাড়াও দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় ওয়ার্ল্ড ভিশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে।পরে অতিদরিদ্র ১৮টি পরিবারের সদস্যদের মাঝে এক জোড়া করে ৩৬টি ছাগল বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি।গ্রাউসের প্রোগ্রাম ম্যানেজার (সদর) টুলু মার্মা’র সঞ্চালনায় আয়োজিত ছাগল বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড ভিশনের পক্ষে এসময় এম.এ.আজিজ,ডা.মাহমুদুল হক এবং সবিতা হালদার উপস্থিত ছিলেন।ওয়ার্ল্ড ভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার স্টিফেন হালদার রোভেন জানান,কর্মসূচির উদ্বোধনী দিনে ১৮ টি হতদরিদ্র পরিবারকে এক জোড়া করে ৩৬টি ছাগল বিতরণ করা হলো।এই কর্মসূচির আওতায় বান্দরবান পৌরসভার ১,২,৩ নং ওয়ার্ডে ৫০টি,কুহালং ইউনিয়নে ৫০টি,রাজবিলা ইউনিয়নে ৫০টি,টংকাবতী ও সুয়ালক ইউনিয়নে ৫০টিসহ সর্বমোট ২৬২টি ছাগল অতিদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে।এছাড়াও ৪৪টি শুকর,২৩টি সেলাই মেশিন এবং ২টি দোকানের মালামাল বিতরণ করা হবে।এসময় তিনি আরও জানান,ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের সার্বিক অর্থায়নে পার্টনার অর্গানাইজেশন হিসেবে গ্রাউস পুরো কর্মসূচিটি বাস্তবায়ন করবে।উল্লেখ্য,এই কর্মসূচির আওতায় অতিদরিদ্র ১৬১টি পরিবার এক জোড়া করে সর্বমোট ২৬২টি ছাগল পাবেন।