![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2019/04/FB_IMG_1555758350636.jpg)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
“বান্দরবানের লামায় হচ্ছে গাজা চাষ” বিভিন্ন পত্রিকার অনলাইনে শনিবার সকাল ১০টায় প্রকাশিত সংবাদের ১ ঘন্টার মধ্যে অভিযানে নামে বান্দরবানের লামা থানা পুলিশ। বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার প্রকাশিত সংবাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হয়ে লামা থানাকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বলেন।পুলিশ সুপার এর নির্দেশে লামা থানায় সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল হক সঙ্গীয় ১৫/২০ জন পুলিশের অফিসার,সদস্য ও মহিলা পুলিশ নিয়ে অভিযানে নামেন।অভিযানকালে উপস্থিত ছিলেন, লামা থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক কৃষ্ণ কুমার দাশ, আসাদুজ্জামান, আয়াত, এএসআই সুজন ভৌমিক, রাম প্রসাদ দাশ, সহ প্রমূখ।শনিবার (২০ এপ্রিল) সকাল ১১টা হতে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত লামা পৌর শহরের কাছাকাছি সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রোয়াজা ঝিরি এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।২০ শতক জমিতে করা প্রায় ৮ শতাধিক পূর্ণ বয়স্ক গাঁজা গাছ ও ১ হাজারের মত গাঁজা গাছের চারা উপড়ে ফেলে হয়।এসময় গাঁজা ক্ষেতের মালিক মো.ইয়াহিয়া মিন্টুর স্ত্রী খুরশিদা বেগমকে ঘটনাস্থল থেকে হাতেনাতে আটক করা হয়।আটক খুরশিদা বেগম ও গাঁজা গাছ গুলো পুলিশ লামা থানায় নিয়ে আসে।ক্ষেতের মালিক মো. ইয়াহিয়া মিন্টু কয়েকদিন যাবৎ লামায় না থাকায় তাকে আটক করা যায়নি।লামা থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল হক বলেন,খবর শুনার সাথে আমরা অভিযান পরিচালনা করি।প্রায় ২০ শতক জমিতে চাষ করা ৮ শতাধিক পূর্ণ বয়স্ক গাঁজা গাছ ও ১ হাজারের অধিক নার্সারীর গাঁজা চারা ধ্বংস করতে সক্ষম হই।এসময় গাঁজা ক্ষেতের মালিক মো.ইয়াহিয়া মিন্টুর স্ত্রী খুরশিদা বেগমকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়।প্রসঙ্গত,লামা উপজেলার সদর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের রোয়াজা ঝিরি এলাকার লোকমানের বাড়ির পূর্ব পাশে পাহাড়ের কোল ঘেষে ৬০ শতক জমি বর্গা নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির শাক-সবজি চাষাবাদ করে মো.ইয়াহিয়া মিন্টু।তার স্ত্রী খুরশিদা বেগম (৩২) ক্ষেতের কাজে সহায়তা করে।উক্ত জমিটি লামা পৌরসভার ছাগলখাইয়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আব্দুস ছালাম লেদুর কাছ থেকে ১ বছরের জন্য ১৫ হাজার টাকা দিয়ে বর্গা নেয় মিন্টু। সেখানে ভুট্টা, সীম, পেঁপে, বেগুন, মরিচ সহ নানা রকম সবজির চাষাবাদ করা হয়েছে।পাশের চলাচলের রাস্তা হতে ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে দেখলে এইসব ক্ষেত দেখা যায়। এইসব ফসলের ভিতরে লুকিয়ে প্রায় ২০ শতক জমিতে নেশাদ্রব্য গাজার চাষ করছে সে।