

বান্দরবান অফিসঃ-বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম বিজিবি ক্যাম্পে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষ হয়েছে।এসময় জিরো পয়েন্টে আশ্রয় নেয়া ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বিজিপি।এবং সীমান্তে নিজেদের অংশে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্য বাড়তি সেনা মোতায়েন করেছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমার।একই কারণে তারা সীমান্ত এলাকায় ফাঁকা গুলি ছুড়েছিল বলেও দাবি করেছে।শুক্রবার (২ মার্চ) বিকাল ৩টার দিকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ক্যাম্পে পতাকা বৈঠকে বসে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনী। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটের দিকে বৈঠক শেষ হলে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মঞ্জুরুল হাসান খান।মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ আরও জানিয়েছে,ভবিষ্যতে সীমান্ত এলাকায় ফাঁকা গুলির আগে বাংলাদেশকে অবহিত করবে।’তিনি আরও বলেন, ‘মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ বিজিবির কাছে প্রশ্ন করে, সীমান্তে বাংলাদেশ কেন সিসি ক্যামেরা স্থাপন করেছে।জবাবে আমরা জানাই, এটা মিয়ানমারকে টার্গেট করে করা হয়নি, অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার জন্যই আমরা এটা করেছি।’মঞ্জুরুল হাসান খান বলেন, ‘তমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় অবস্থানকারী রোহিঙ্গাদের যে কোনও সময় নিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে প্রস্তুত রয়েছে বলেও জানিয়েছে মিয়ানমার সীমান্ত পুলিশ।’ তিনি জানান, ‘সীমান্ত এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে।শূন্যরেখায় থাকা রোহিঙ্গারাও ভালো আছে।’পতাকা বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন মঞ্জুরুল হাসান খান ও মিয়ানমারের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন দেশটির সীমান্ত পুলিশের লেফটেন্যান্ট সোয়োজাই লিউ।