এই মাত্র পাওয়া :

মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের ১২ দফা সুপারিশ


প্রকাশের সময় :১১ জুলাই, ২০১৮ ৬:৪৫ : অপরাহ্ণ 713 Views

সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবান পার্বত্য জেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের স্কুল, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ২০১৮ইং সনের এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষার ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য ১৬টি কারণ নির্ণয় করা হয়েছে।

বান্দরবান জেলা প্রশাসক মো. আসলাম হোসেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করলে উপস্থিত স্কুল, মাদ্রাসার প্রধানগণ শিক্ষার মান উন্নয়নে নানান সুপারিশমালা উপস্থাপন করেন। তা থেকে জেলার শিক্ষার মান উন্নয়নে ও ভাল ফলাফলের জন্য ১২টি সুপারিশমালা বাস্তবায়ন করার জন্য বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, প্রধান শিক্ষক, মাদ্রাসা সুপার ও অধ্যক্ষদের পত্র দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে, বান্দরবান জেলায় ৮টি সরকারি ও ৪২টি বেসরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। চলতি বছর এসএসসি, দাখিল ও ভোকেশনাল পরীক্ষায় বান্দরবান জেলায় চরম ফলাফল বিপর্যয় ঘটে। বান্দরবান জেলা প্রশাসক ফলাফল বিপর্যয়ের কারণ নির্ণয়ের জন্য গত ২৯ মার্চ জেলার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধানদের নিয়ে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মত বিনিময় সভার আয়োজন করেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ফলাফল বিপর্যয়ের জন্য ১৬টি কারণ জেলা প্রশাসকের নিকট উপস্থাপন করেন।

ভাল ফলাফল করার অন্তরায় গুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষক স্বল্পতা, প্রশাসনিক দুর্বলতা, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের অভাব, ভর্তির ক্ষেত্রে যোগ্যতা সম্পন্ন শিক্ষার্থী না পাওয়া, শিক্ষার্থীদের শ্রেণীকক্ষে অনিয়মিত উপস্থিতি, গণিত ভীতি, অনগ্রসর গ্রামীণ পাহাড়ী এলাকা, অভিভাবকগণের অসচেতনতা, অধিকাংশ শিক্ষার্থী দরিদ্রতা, এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণের ঘন ঘন বদলী, টেস্ট পরীক্ষায় অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীদের রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ প্রদান, পাস না করা ছাত্র-ছাত্রীদের প্রমোশনে বাধ্য করা, প্রাইমারী শিক্ষা সুসংহত না থাকা, প্রতিমাসে অভিভাবক সভা না করা, শিক্ষকদের মনোযোগ সহকারে পাঠদান না করা, গণিত, ইংরেজি, আরবী, বিজ্ঞান বিষয়ে বিশেষ ক্লাস কার্যক্রম না করা।

উক্ত সমস্যা গুলো থেকে শিক্ষার মানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ ১২ দফা সুপারিশমালা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। বাস্তবায়ন করা সুপারিশ মালা গুলোর মধ্যে রয়েছে- শিক্ষকগণ পাঠ প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে আসা, শিক্ষক শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতি নিশ্চিতকরণ, শ্রেণীকক্ষে শ্রেণীর পড়া আদায় নিশ্চিত করা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, গর্ভনিং বডির সদস্য ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের মনিটরিংয়ে যোগদান, শ্রেণীকক্ষে ছাত্র-ছাত্রীর মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ করা, প্রতিমাসে শিক্ষার্থীদের ‘মা সমাবেশ’ করা, বিশেষ ক্লাস ও মাসিক মূল্যায়ন পরীক্ষা নেওয়া, প্রাইভেট কোচিং বন্ধ করা, আগষ্ট মাসে পুনঃমূল্যায়ন সভাসহ প্রতিষ্ঠান প্রধানদের সর্বোচ্চ বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ করা।

বান্দরবান জেলা শিক্ষা অফিসার সুমা রানী বড়ুয়া সাংবাদিকদের জানান, সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে শিক্ষা বিভাগ কাজ করছে। তবে শিক্ষক সমস্যা প্রকট।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!