

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-ম্যামাচিং কে সভাপতি এবং জাবেদ রেজা কে সাধারণ সম্পাদক করে বান্দরবান জেলা বিএনপির ২১ সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষিত হয়েছিল গত ২ মার্চ।তবে কেন্দ্র ঘোষিত সেই তালিকা গত ছয় মাসেও দেখেননি দলের নেতাকর্মীরা।মৌখিকভাবে নাম ঘোষণার পর এই কমিটির ১৪ জন নিজেদের নাম প্রত্যাহারও করে নিয়েছেন।পদ থেকে সরে যাওয়া সদস্যরাও নামের তালিকা দেখেন নাই বলে সেসব সদস্যরা অভিযোগ তোলেন।বিএনপি নেতাকর্মীরা জানান,গত ২ মার্চ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি তে অন্য আরও তিনটি জেলার সাথে বান্দরবান জেলা বিএনপিরও দুই সদস্যের আংশিক কমিটি ঘোষণা করেন।এতে দলের সদ্য সাবেক সভাপতি সাচিং প্রু জেরী ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান সমর্থকদের সাথে ছয় মাস পুর্বে ঘোষিত ম্যামাচিং-জাবেদ কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়।পাল্টাপাল্টি কর্মসূচীও পালন করে আসছিলো দুই গ্রুপের নেতাকর্মীরা।নতুন সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক মৌখিকভাবে দলের নতুন কমিটির ১৯ সদস্যের নাম ঘোষণা করেন।তবে এই ঘোষণার পরপরই সাচিং প্রু জেরী অনুগত কমিটি তে স্থান পাওয়া ১৪ নেতা স্ব ইচ্ছায় নিজেদের নাম প্রত্যাহার করে নেন।বর্তমানে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাড়া ওই কমিটিতে রয়েছেন সহসভাপতি আব্দুল মাবুদ ও সাংগঠনিক মংশৈম্রাই এবং জসিম উদ্দিন তুষার সহ সর্বমোট ৫ জন।জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ বলেছেন,তাঁরা কেন্দ্রীয় কমিটি তে খোঁজ নিয়ে জেনেছেন ম্যামাচিং-জাবেদ রেজা কে আসলে কোনও কমিটিই দেওয়া হয়নি।পূর্বের সাচিং প্রু জেরী কমিটিও ভেঙ্গে দেওয়া হয়নি।যে কারনে ম্যামাচিং-জাবেদ কমিটির কোনও তালিকা জেলার নেতাকর্মীদের দেখাতে পারছেন না।আর ২১ সদস্যের আংশিক কমিটি যদি দিয়েই থাকে তবে সেটা প্রকাশ করতে না পারার রহস্যটাই বা কি প্রশ্ন ছুড়ে দেন এই জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি।তবে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দাবীদার জাবেদ রেজা বলেছেন,কেন্দ্রের অনুমোদিত কমিটির নামের তালিকা তাদের হাতে রয়েছে।উপযুক্ত সময়ে তা আমরা প্রকাশ করবো।এবিষয়ে ম্যামাচিং বলেছেন,চার পাঁচ জেলার আংশিক কমিটি একসঙ্গে ঘোষণা করা হয়েছে।সেখানে জাল জালিয়াতির কোন প্রশ্নই আসেনা।অন্যদিকে আলিকদম উপজেলা বিএনপি সভাপতি ও আলিকদম উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম ২১ সদস্য কমিটি থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার এর ঘোষণা দিয়েছেন।এবিষয়ে তিনি বলেন,কেন্দ্রীয় কমিটির কথা বলে কেন্দ্র ঘোষিত কোনও নামের তালিকা না দেখিয়ে আমাকে সহসভাপতি করা হয়েছে বলে মোবাইলে জানানো হয়েছে।এইভাবে কেউ ফোন করে আপনাকে এই পদে রাখা হয়েছে বলতে পারে কিনা সেই প্রশ্ন তোলেছেন তিনি।অন্যদিকে বান্দরবান জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রশীদ ও লামা উপজেলা বিএনপি সভাপতি আমির হোসেন আমু বলেন,ছয় মাস পার হয়ে গেলেও তাঁরা কোনও কেন্দ্রীয় কমিটির তালিকা এখন পর্যন্ত দেখেন নাই।ম্যামাচিং-জাবেদ রেজাও ওই তালিকা দেখাতে পারেন নাই।আদৌ তাঁরা এই নামের তালিকা পেয়েছেন কিনা প্রশ্ন ও সন্দেহের সৃষ্টি করেছে।মৌখিকভাবে সভাপতি ও সম্পাদক এইরকম ফোন করে তালিকায় থাকা নামের পদপদবী ঘোষণা করার এখতিয়ার রাখেন কিনা সেই প্রশ্ন তোলেছেন এই দুই নেতা।