বান্দরবানে হুমকির মুখে সরকারের হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৯ ডিসেম্বর, ২০২৩ ৪:১৯ : অপরাহ্ণ 82 Views

বান্দরবানে হুমকির মুখে পরেছে সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ।নিরব আতঙ্কে ভুগছেন এসব উন্নয়ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ।এরই প্রেক্ষিতে বান্দরবান জেলা সদরে প্রকৃতি ও পরিবেশ কে বিবেচনায় রেখে স্থাপন করা ইটভাটা চালু রাখার দাবি উঠেছে।

নাহয় উন্নয়ন কাজগুলো বাধাগ্রস্থ হবে এমনটাই আশংকা প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল। সংশ্লিষ্টরা জানান,বান্দরবান জেলায় সীমান্ত সড়কসহ বর্তমানে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ চলমান রয়েছে।ইট ছাড়া এসব উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন কোনও ভাবেই সম্ভব নয়।এসব কাজ অব্যাহত রাখার স্বার্থে ২০১২ সালের সুপ্রীম কোর্ট প্রদত্ত রায়ের ভিত্তি তে বান্দরবানে ২১ ইটভাটা উৎপাদন ও বিপনন করে যাচ্ছে।

বান্দরবান এর অন্যান্য উপজেলায় স্থাপন করা ইটভাটায় পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহের অভিযোগ বহু পুরনো হলেও জেলা ২১ ভাটায় প্রশাসনের সঠিক নজরদারি থাকলে পাহাড় কেটে মাটি সংগ্রহ করার কোনও সুযোগ নাই।এসব ইটভাটার মালিকরা জানান,প্রকৃতি ও পরিবেশ কে বিবেচনায় নিয়ে লোকালয় থেকে অনেক বাইরে এসব ইটভাটা স্থাপন করা হয়েছে।বান্দরবান এর উন্নয়ন কাজগুলো সম্পন্ন করতে হলে এসব ইটভাটার বিকল্প কোনও উৎস এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান নয়।

ভাটাগুলো বন্ধ হয়ে গেলে এসব উন্নয়ন কাজ কিভাবে বাস্তবায়ন করা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।তবে এসব উন্নয়ন কাজ এর বাস্তবায়ন সংস্থাগুলো প্রকাশ্যে কিছু না বললেও নিজেরাও সরকারের এসব উন্নয়ন সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন নিয়ে শংকিত।যেসব ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সরকারের হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজগুলো বাস্তবায়ন করছেন তাদের দাবী,বর্তমানে সরকার নির্ধারিত মূল্যে ইট সংগ্রহ করা যাচ্ছে।

যদি এসব ভাটা থেকে ইটের যোগান বন্ধ হয়ে যায় তাহলে সরকার নির্ধারিত অর্থ দিয়ে কোনও ভাবেই কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব নয়।এতে সবাইকে বহুমূখী সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।পার্শ্ববর্তী জেলা থেকে ইট কিনে এনে কাজ করতে হলে একেকটি ইটের দাম বর্তমান মূল্যের দ্বিগুন হবে।এছাড়াও ভাটাগুলো কে কেন্দ্র দশ হাজারের বেশি মানুষ ও পরিবার জীবিকা নির্বাহ করে।

সাম্প্রতিক বন্যায় বিপুল পরিমান গ্রামীন সড়ক, আন্তঃ উপজেলা সড়কসহ অবকাঠামোগুলো মারত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়।ক্ষতিগ্রস্থ এসব সড়ক ও অবকাঠামো সংস্কারও কাজও বাধাগ্রস্থা হবে।উল্লেখ্য,২০১২ সালে যে ২১ ইটভাটা সুপ্রীম কোর্টের রায় অনুসারে উৎপাদন ও বিপনন কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে এসব প্রতিটি ইটভাটা ভ্যাট,ইনকাম ট্যাক্স এবং ভূমি কর হিসেবে আট লাখের বেশি টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দিয়ে থাকেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
July 2024
M T W T F S S
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!