বান্দরবানে শুরু হলো প্রাণের উৎসব মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ ও প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপন


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :৩০ অক্টোবর, ২০২৩ ৩:০২ : পূর্বাহ্ণ 157 Views

আজ থেকে বান্দরবানে শুরু হচ্ছে মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে’। উৎসব চলবে তিন দিনব্যাপী।বান্দরবানের সমস্ত জেলা জুড়ে বইছে আনন্দের বন্যা,চলছে নানা আয়োজন।উপাদেয় খাবার তৈরিতে ব্যস্ত মারমা নারীরা।তাদের মধ্যে এখন উৎসবের ধুম।আষাঢ়ের পূর্ণিমার পর থেকে তিন মাস বর্ষাবাস পালন শেষে শুরু ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে।প্রতি বছর পূর্ণিমার এই তিথিতে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা পালন করে প্রবরণা পূর্ণিমা আর প্রবরণা পূর্ণিমাতে মারমা সম্প্রদায়ের মানুষ পালন করে মাহা ওয়াগ্যোয়াই পোয়ে।
উৎসবের মধ্যে রয়েছে-সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান,রথযাত্রা,পিঠা তৈরি,ফানুস ওড়ানো,হাজার প্রদীপ প্রজ্বলনসহ নানা আয়োজন।

উৎসবের প্রধান আকর্ষণ বাঁশের তৈরি একটি রথ (ময়ূর পাখি সদৃশ)।মারমা তরুণ-তরুণীরা তাদের নিজ ভাষার উৎসব সংগীত গেয়ে রথ টেনে বিভিন্ন বৌদ্ধ বিহার প্রদক্ষিণ করে থাকেন। শেষে সাঙ্গু নদীতে রথ বিসর্জন দেয়। দলবেঁধে তৈরি করে নানা রঙের ফানুস ও বেতের নানা সামগ্রী।
এ উৎসবের মাধ্যমে সমগ্র মানবজাতির মননে শান্তি বয়ে আনার আশীর্বাদ ব্যক্ত করা হয়ে থাকে।বিশ্ব শান্তি ও মঙ্গল কামনায় প্রতিটি মানুষের মনে সুখ বয়ে আনার বার্তা এই সময় ছড়িয়ে দিয়ে থাকে এ উৎসবের অনুসারীরা।প্রাণের মিলনমেলার এই উৎসবের মাধ্যমে যা কিছু সুন্দর; যা কিছু সত্য, তারই বন্দনা করা হয়।এই উৎসবের মাধ্যমে নতুনভাবে আশাগুলো আবারো সঞ্চারিত হবে এ প্রত্যাশা সকলের মনে। এ উৎসব নব জীবনের নব যাত্রার সন্ধিক্ষণে সকল মানুষকে স্বাগত জানায়। মানবিক মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় প্রাণে প্রাণ মিলিয়ে ওয়াগ্যোই মিলনমেলায় সকলে সমবেত হয়ে থাকে। নবদিগন্তে সকলের শান্তি কামনায় প্রাণের উচ্ছ্বাস ছড়িয়ে দেওয়া হয় এ উৎসবের মাধ্যমে। এভাবেই মাহা ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’ (প্রবারণা পূর্ণিমা) উৎসব পালন করে আসছে বান্দরবানের মারমা সম্প্রদায়।

আতশবাজি,রং-বেরংয়ের বর্ণিল ফানুসের ঝলকানি আর ময়ুরপঙ্খীর আদলে তৈরী মাহারথ টানা উৎসবের মধ্যে দিয়ে অন্যতম ধর্মীয় উৎসব মাহা ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’ (প্রবারণা পূর্ণিমা) উদযাপনে পাহাড়ের মারমা সম্প্রদায় মেতে উঠেছে। পাহাড়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী মারমা’রা ‘ওয়াগ্যোয়াই পোয়েঃ’ নামে প্রবারণা পূর্ণিমা পালন করে আসছে।এবারের উৎসবে পাহাড়ের আকাশে বিভিন্ন ধরণের বর্ণিল ফানুসে ঢেকে পড়বে। বৌদ্ধ মন্দিরে মন্দিরে (ক্যায়াং) জ্বালানো হবে হাজারো বাতি, রাতের আকাশে আতশবাজির ঝলকানি,মন্দিরে ছোয়াইং ও অর্থ দান,বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

প্রতিটি সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নুতন নতুন পোশাকে শহরের খ্যংওয়া ক্যাং,খ্যংফিয়া ক্যাং,করুণাপুর বৌদ্ধ বিহার, বুদ্ধ ধাতুজাদি,রামজাদি,সার্বজনীন বৌদ্ধ বিহার,আম্রকানন বিহারসহ অন্যান্য ধর্মীয় ক্যাং বা বিহারগুলোতে প্রার্থনা এবং ছোয়াইং দানের জন্য পূণ্যার্থীদের ভিড় লেগে থাকবে।মারমা তরুন তরুনীরা রাতে আদিবাসী অধ্যুষিত পাড়ায় পাড়ায় একে অপরের আয়োজনে গিয়ে তৈরি করবে বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2024
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
2930  
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!