বান্দরবানে ভয়াবহ বন্যায় ১৫ হাজারের অধিক ঘরবাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :১২ আগস্ট, ২০২৩ ৫:৩৩ : অপরাহ্ণ 138 Views

বান্দরবান এর জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন জানিয়াছেন,ভারী বর্ষণে সৃষ্ট ভয়াবহ বন্যা ও ভূমিধসের কারণে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখন তাদের বাড়িতে ফিরে গেছে।শুক্রবার (১১ আগস্ট) জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিং এ সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এমন কথা জানান।

তিনি সাম্প্রতিক প্রবল বর্ষণ ও বন্যার কারণে সৃষ্ট ধ্বংসের পরিমাণ এবং সামগ্রিক পরিস্থিতির রূপরেখা তুলে ধরেন।তিনি জানান,এই বিপর্যয় পরিবারগুলোকে বাস্তুচ্যুত করেছে এবং অবকাঠামোর যথেষ্ট ক্ষতি করেছে।বন্যায় ১৫৮০০ পরিবার আটকা পড়েছে এবং ১৫৬০০ টি বাড়ি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক।

কৃষি বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে,জেলা প্রশাসক বলেছেন,কৃষি খাত মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।৮২৫৩ হেক্টর ফসলি জমি বন্যায় ডুবে গেছে।তিনি বন্যা ও ভূমিধসের ফলে ১০ জনের মৃত্যু খবরও নিশ্চিত করেন।

অবিরাম বর্ষণে থানচি ও রুমা উপজেলার সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর দুটি ভ্রাম্যমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ইউনিট স্থাপন করে পুনর্বাসনের উদ্যোগ নিয়েছে।ইতিমধ্যেই এই উদ্যোগের মাধ্যমে ২ লাখ লিটার পানি বিতরণ করা হয়েছে।বাংলাদেশ সেনাবাহিনীও ত্রাণ তৎপরতায় যোগ দিয়েছে এবং অতিরিক্ত ৫৩,৮০০ লিটার বিশুদ্ধ পানীয় জল বিতরণ করেছে।সরকার দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ১৬৮ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য এবং ৬ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে।বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ ৭টি উপজেলার জন্য ২৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে।পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহ করেছে।

বান্দরবান শহরে চারদিন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের পর শুক্রবার থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।এতে জল সরবরাহ ব্যাহত হয়,কারণ জল শোধনাগার থেকে ধ্বংসাবশেষ এবং পলি অপসারণের প্রচেষ্টা এখনও অব্যাহত রয়েছে।বান্দরবানে ইন্টারনেট ও মোবাইল সংযোগ পুনঃস্থাপন করা হয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2023
MTWTFSS
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!