এই মাত্র পাওয়া :

“বান্দরবানে ব্রীক ফিল্ড ব্যবসার আড়ালে সন্ত্রাসীদের কোটি টাকার চাঁদা যোগান দেয় উজ্জ্বল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ


প্রকাশের সময় :১ ডিসেম্বর, ২০১৮ ২:১৭ : পূর্বাহ্ণ 632 Views

বান্দরবান অফিসঃ-বান্দরবান জেলা শহর থেকে প্রকাশিত অনলাইন গণমাধ্যম সিএইচটি ফার্স্ট টুয়েন্টিফোর ডটকমে, “বান্দরবানে ব্রীক ফিল্ড ব্যবসার আড়ালে সন্ত্রাসীদের কোটি টাকার চাঁদা যোগান দেয় উজ্জ্বল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ ও বান্দরবান এর বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা উজ্জ্বল কান্তি দাস।গতকাল শুক্রবার (৩০ নভেম্বর) রাত ৭টা ৫৭ মিনিটে উপরোল্লেখিত শিরোনামের মিথ্যা সংবাদটি প্রকাশিত হয়।এবিষয়ে আব্দুল কুদ্দুছ চেয়ারম্যান ও উজ্জ্বল কান্তি দাশ সিএইচটি টাইমস ডটকমকে বলেন,সংবাদটি সর্বৈব মিথ্যা,বানোয়াট এবং উদ্দেশ্য প্রনোদিত।কাউকে চাঁদা দিয়ে ব্যবসা করার প্রশ্নই আসেনা।আমাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোন প্রকার তথ্য প্রমান ছাড়াই সাংবাদিকতা পেশার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মনগড়া সংবাদটি প্রকাশ করা হয়েছে।সংবাদটিতে যেভাবে চাঁদা দেয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে এটাও সত্য নয়।মূলত বান্দরবানের চিহ্নিত এই নিউজ পোর্টাল এর সাংবাদিক জনৈক বিপ্লব চাকমা দীর্ঘদিন যাবৎ আমরা যারা ইটভাটার ব্যবসা করি আমাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ টাকা অফিস খরচের কথা বলে চাঁদা চেয়েছিলেন।কিন্তু আমরা তা দিতে রাজি না হওয়ায় বিপ্লব চাকমা আমাদের উপর রুষ্ঠ হয় এবং পরবর্তীতে এমন আজগুবি মিথ্যা তথ্যের মনগড়া অভিযোগ তুলে সংবাদ প্রকাশ করে।আমরা বান্দরবানে দুইজনই দীর্ঘ তিন যুগের বেশি সময় ধরে অত্যন্ত সফলতার সাথে বৈধভাবে ঠিকাদারী এবং ইটভাটা ব্যবসা করে আসছি।মূলত আমাদের বর্ণাঢ্য ব্যবসায়ীক পরিচিতি কে সমাজে হেয়প্রতিপন্ন করতেই আমাদের সম্পর্কে এমন ভিত্তিহীন খবর প্রকাশ করা হয়েছে।আমরা এই মিথ্যা সংবাদ প্রকাশকারী সিএইচটি ফার্স্ট টুয়েন্টি ফোর ডটকম এর প্রকাশক,সম্পাদক এবং স্টাফ রিপোর্টার এর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি এ্যাক্টের আওতায় আদালতে মামলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।এই ২ ব্যবসায়ী নেতা বিপ্লব চাকমার বৈধ আয়ের উৎস সম্পর্কে প্রশ্ন তুলে প্রশাসনকে তার বিষয়ে তদন্ত করারও আহবান জানিয়েছেন।এবিষয়ে বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুছ সিএইচটি টাইমস ডটকমকে জানান,বান্দরবানে ব্রীক ফিল্ড মালিক সমিতি নামের কোনও সংগঠন অতীতের কোনও কালেই ছিলোনা,বর্তমানেও নাই।পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি ও উজ্জ্বল কান্তি দাশের সম্পর্ক নিয়ে আমি কোনও কথাই বলি নাই।পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সাথে বান্দরবানের ব্রীক ফিল্ড এর কোনও সম্পর্কও নাই,মূলত নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী মহোদয় এবং আমার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতেই বিপ্লব চাকমা আমার উদ্ধৃতি দিয়ে মিত্থা তথ্য সম্বলিত সংবাদটি প্রকাশ করেছে বলে আমি মনে করি।এদিকে উজ্জ্বল কান্তি দাশের নির্দেশনায় বান্দরবান সদর উপজেলার ডলু পাড়া এলাকার এবিসি ব্রীক ফিল্ড মালিক মো:ইসলাম সন্ত্রাসীদের ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দেন, সিএইচটি ফার্স্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম কতৃক প্রকাশিত এমন খবরের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন এবিসি ব্রীকস এর সত্বাধিকারী,বিশিষ্ট সমাজসেবক মোঃইসলাম কোম্পানি।প্রকাশিত সংবাদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে সিএইচটি টাইমস ডটকমকে তিনি বলেন,বান্দরবানের মতো শান্তিপূর্ণ একটি জেলায় আমাদের মতো ব্যবসায়ীরা সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিবে এটা পাগলও বিশ্বাস করেনা।অত্যন্ত সততার সাথে বিগত তিন যুগের বেশি সময় ধরে ইটভাটা ব্যবসা করছি,এই দীর্ঘ সময়ে বান্দরবানের কোনও সাংবাদিক কখনও আমাদের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ তুলতে পারেনি যা সিএইচটি ফার্স্ট টুয়েন্টিফোর ডটকম সাংবাদিকরা তুলেছে।এটা অত্যন্ত ধৃষ্ঠতাপূর্ন এবং নিন্দনীয় সংবাদ।এইরকম আজগুবি তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশ সমাজের জন্য ক্ষতিকর।এবিষয়ে,ব্যবসায়ী নেতা উজ্জ্বল কান্তি দাশ সিএইচটি টাইমস ডটকমকে বলেন,আধুনিক বান্দরবান এর রুপকার,বান্দরবান এর শ্রেষ্ঠ সন্তান,আশা ভরসার আশ্রয়স্থল মাননীয় পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয়ের নাম ভাঙ্গিয়ে আমি কখনও কোনও জায়গা থেকে ব্যবসায়ীক সুবিধা গ্রহণ করি নাই।অপ-সাংবাদিকতার ধারক বাহক বিপ্লব চাকমা কোনও তথ্য জানতে কখনও আমাকে মোবাইলে ফোন করে নাই।সন্ত্রাসীদের আশ্রয় প্রশ্রয় তথা চাঁদা দেয়ার প্রশ্নই আসেনা।বান্দরবানে ব্রীক ফিল্ড ব্যবসার আড়ালে শান্তি-সম্প্রীতি-উন্নয়ন এর রোলমড়েল খ্যাত বান্দরবান পার্বত্য জেলার কোন সন্ত্রাসীদের চাঁদা দিচ্ছি সেই প্রশ্ন তুলে ব্যবসায়ী উজ্জ্বল কান্তি দাশ আরও বলেন,বান্দরবানে সন্ত্রাসী কারা তাদের পরিচয় বিপ্লব চাকমাকেই উন্মোচন করতে হবে।কিছুদিন আগেও বিপ্লব চাকমা সম্পাদিত এই নিউজ পোর্টালটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যমূলকভাবে বান্দরবানের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মিসেস মে হ্লা চিং মার্মা ও আমাকে জড়িয়ে কাল্পনিক,মিত্থা এবং অবশ্যই মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছিলো।তখনও আমি প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম,তবে এবার আইনের আশ্রয় নিতেই হবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!