বান্দরবানের জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা অনুষ্ঠিত


প্রকাশের সময় :১৪ আগস্ট, ২০১৭ ৮:২৪ : অপরাহ্ণ 834 Views

বান্দরবান প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য ঠেকাতে শীঘ্রই মাঠে নামছে প্রশাসন।যেসব শিক্ষক ২০১২ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রণীত ‘শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য বন্ধ নীতিমালা’ মানবেন না তাঁদের চাকরি থাকবেনা বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এম.পি। রবিবার (১৩ আগষ্ট) জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক এর সভাপতিত্বে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব দিকনির্দেশনা প্রদান করেন বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় সহ জেলার সকল প্রশাসনিক দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানগণ।উল্লখযোগ্য দের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগ সহসভাপতি আব্দুর রহিম চৌধুরী,আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ,সিভিল সার্জন ডাঃঅংশৈ প্রু চৌধুরী, এন এস আই পরিচালক মোঃশাহজাহান,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শম্পা রানী সাহা,বান্দরবান সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস প্রমুখ।এছাড়াও বান্দরবান সেনাবাহিনীর সদর জোন কমান্ডার এর প্রতিনিধি,বান্দরবান বিজিবি সেক্টর কমান্ডারের প্রতিনিধি ও আনসার এবং বনবিভাগের প্রধান বন কর্মকর্তা উক্ত সভায় উপস্থিত ছিলেন।সভায় বান্দরবান প্রেস ক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুর উত্থাপিত অভিযোগের ভিত্তিতে আলোচনাকালে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনারা খবর নেন,কোনো শিক্ষক যদি নীতিমালা না মেনে কোচিং করায়,তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে লেখেন।তাঁর শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও লেখেন। জেলা প্রশাসনের যারা আছেন বা আইন-শৃঙ্খলার যাঁরা আছেন তাঁরা খোঁজ নেন,ওই শিক্ষকদের যদি কোচিং করানো অবস্থায় পাওয়া যায় তাহলে উনার প্রতিষ্ঠানপ্রধান এবং শিক্ষা অফিসার,তাঁরা দায়ী থাকবেন।’ এরপর জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান, নীতিমালাবহির্ভূত কোচিং বন্ধে শীঘ্রই মোবাইল কোর্ট মাঠে নামবে বলে ঘোষণা করেন।জেলা শিক্ষা অফিসার সোমা রানী বড়ুয়া জানান, ইতোমধ্যে কোচিং বাণিজ্যে জড়িত শিক্ষকদের একটি তালিকা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।আরো যদি কেউ কোচিং করিয়ে থাকেন,তাঁদের তালিকাও প্রণয়ন করা হবে।’ বান্দরবানে বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক দীর্ঘদিন ধরে নানা জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে প্রাইভেট পড়াচ্ছেন বলে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।এছাড়াও ছোট ছোট কক্ষে ধারনক্ষমতার চেয়ে অনেক বেশি শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।কোনো কোনো শিক্ষক এক ব্যাচে ৩০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থীকে এক কক্ষে পড়াচ্ছেন এমন দৃশ্য দেখা গেছে।বিশেষ করে ইংরেজি, পদার্থবিদ্যা ও গণিতের শিক্ষকরা স্কুল বা কলেজে শিক্ষার্থীদেরকে নানাভাবে চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30 
আলোচিত খবর