![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2023/09/IMG_20230901_154230.png)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
বান্দরবানে সাম্প্রতিক বন্যায় প্রায় চারশত আটানব্বই কোটি তেষট্টি লক্ষ উনত্রিশ হাজার চারশত ছয় টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।ক্ষয়ক্ষতির পরিমান আরো বাড়তে পারে।গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বন্যা পরিস্থিতি পর্যালোচনা ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এসময় জেলা প্রশাসক বলেন,এবারের এই ভয়াবহ বন্যায় বান্দরবান এর ৭টি উপজেলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।বন্যা শুরুর পরপরই জেলা প্রশাসন পুরো জেলায় ২০৭টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুুত করেছিল।বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ৩০ হাজার ২২০ জন বন্যা দুর্গত মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল।গেলো ৬ আগস্ট থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত অতিবৃষ্টি,পাহাড় ধস আর বন্যার পানিতে তলিয়ে ১১ জন নিহত হয়েছে।আহত হয়েছে আরও ৫৬ জন এবং এখন পর্যন্ত নিখোঁজ রয়েছেন ১জন।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আরো বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ১০ হাজার ৬৬০টি বাড়ি,৮৯.২ কিলোমিটার বিদ্যুৎ লাইন,৯২ টি কালভার্ট,৬০টি মসজিদ,মন্দির,গীর্জা, প্যাগোডা,৯৩টি ব্রিজ,১৫৭টি শিক্ষা প্রতিষ্টানসহ আরো অনেক স্থাপনা,সড়ক,জলাধার ইত্যাদি।
এসময় জেলা প্রশাসক আরো বলেন,এবারের বন্যায় আমাদের নতুন অভিজ্ঞতার সৃষ্টি হয়েছে এবং আগামীতে বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি মেকাবেলায় নানা পরিকল্পনা গ্রহন করেছি।এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নে কাজ শুরু করেছি।
মতবিনিময় সভায় নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন,নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাজীব কুমার বিশ্বাস,কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক এস এম শাহনেয়াজ,এলজিইডি বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী ড.মো.জিয়াউল ইসলাম মজুমদার,বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী সৈয়দ আমির হোসেন মাসুম,প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চুসহ জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্টনিক মিডিয়ার সাংবাদিক ও জেলা প্রশাসন এবং বিভিন্ন দফতরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।