

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে জনপ্রতিনিধি,ইমাম,বৌদ্ধ ভিক্ষু ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় মিলিত হয়েছেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।
এসময় তিনি বলেন,মায়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে আরাকান রাজ্যের মুসলিম রোহিঙ্গারা নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে। তারা ওপারেও ফিরে যেতে পারছে না।খাদ্য,বাসস্থান, চিকিৎসা বঞ্চিত হচ্ছে আশ্রিত রোহিঙ্গারা।তাদের এভাবে থাকতে দেওয়া হবে না।আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী রোহিঙ্গাদের উখিয়া উপজেলার বালুখালী ও কুতুপালং শরণার্থী শিবিরের পাশাপাশি নতুন আরেকটি জায়গায় স্থানান্তরের কাজ শুরু হবে।তিনি আরো বলেন,বান্দরবান নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ভূখন্ডে কোন মতেই রোহিঙ্গাদের বসবাস করার সুযোগ দেওয়া হবে না এবং সীমান্তের জিরো লাইনের ৭টি পয়েন্টে অবস্থানকারী লক্ষাধিক রোহিঙ্গাকে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পর্যায়ক্রমে উখিয়া উপজেলায় সরিয়ে নেয়া হবে।এছাড়া রোহিঙ্গাদের বিভিন্ন প্রলোভনের মাধ্যমে অনুপ্রবেশ করার চেষ্টাকারী দালাল শ্রেণির লোকদের আইনের আওতায় আনার জন্য সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্টে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান।পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের কারণে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা অবনতি যাতে না হয় সে জন্য ঘুমধুমে ইতিমধ্যে পুলিশ ফোর্স বাড়ানো হয়েছে।সীমান্ত সুরক্ষা রাখার জন্য বিজিবির পাশাপাশি পুলিশ কাঁদে কাঁদ মিলিয়ে কাজ করবে।মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়,৩১ বিজিবি অধিনায়ক লে.কর্ণেল আনোয়ারুল আযিম,সিনিয়র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াসির আরাফাত,উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) কামাল উদ্দিন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম সরওয়ার কামাল,নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান তসলিম ইকবাল চৌধুরী,বাইশারী ইউপি চেয়ারম্যান মো.আলম,ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ,দৌছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মো.হাবিবুল্লাহ সহ বিভিন্ন মসজিদের ইমাম,বৌদ্ধ ভিক্ষু,বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য ও সাংবাদিকবৃন্দ প্রমুখ।