

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবানে রাজার মাঠের পূজামণ্ডপটি এবারো দক্ষিণ চট্রগ্রামের সবচেয়ে বড় পূজামণ্ডপ।তাই বড় মণ্ডপে পূজার আবেদনও ভিন্ন।পূজার প্রথম দিনেই মণ্ডপে মণ্ডপে দেবীদুর্গার ভক্তদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।নানা রং এর আলোর ঝলকালিতে মুখরিত শহরের রাজার মাঠের পূজাপ্রাঙ্গন।বর্ণাঢ্য আয়োজনে গত মঙ্গলবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দেবীর মুখ উন্মোচন করেছিলেন।শত শত ধর্মপ্রাণ নর-নারী ভিড় জমায় রাজার মাঠে।এ সময় পূজামণ্ডপে সেনাবাহিনীর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল যুবায়ের সালেহীন,জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক,সেনাবাহিনীর সদর জোনের অধিনায়ক মশিউর রহমান,পুলিশ সুপার সজ্ঞিত কুমার রায়,জেলা পরিষদের মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা শহিদুল আলম,সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুল কুদ্দুস,জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষী পদ দাশসহ প্রশাসনের উর্ধতকন কর্মকর্তা জনপ্রতিনিধি ও কেন্দ্রীয় মন্দির কমিটির নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
দেবীস্তুতি পাঠ করেন অভেদানন্দ ব্রঋচারী মহারাজ।এ সময় চন্ডি পাঠের মধ্য দিয়ে বেদীকে মর্তে আমন্ত্রণ জানানো হয়।পরে অতিথিরা মণ্ডপে বক্তব্য রাখেন।মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয় পূজামণ্ডপে। বান্দরবানের বিভিন্ন স্থান থেকে আসা হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ পূজামণ্ডপে এসে দেবী দুর্গার আর্শিবাদ কামনা করেন।শুধু হিন্দু ধর্মাবলম্বীরাই নয় অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনও ভিড় জমায় পূজা মণ্ডপে।মিলন মেলায় পরিনত হয় শহরের রাজার মাঠ প্রাঙ্গণ।পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অমল কান্দি দাশ ও সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব দাশ জানান,এবার বান্দরবানের ৭টি উপজেলায় মোট ২৭টি পূজামণ্ডপে বর্ণাঢ্য আয়োজনে দুর্গাপূজা উদযাপিত হচ্ছে।এতে পার্বত্য মন্ত্রণালয়,জেলা পরিষদ, সেনাবাহিনী,জেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে সহায়তা দেয়া হয়েছে।এছাড়া পূজায় অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খরা বাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে।অন্যান্য বছরের মত এবারও বান্দরবানের পূজা মণ্ডপগুলোতে মহাসমারোহে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে বলে আশা করছেন পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ।এদিকে একইদিন মঙ্গলবার দুপুরে বান্দরবান জেলা পরিষদ মিলনায়তনে বান্দরবানের সাতটি উপজেলার পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দের হাতে সহায়তার চেক তুলে দেন পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি।এ সময় সেখানে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈহ্লা,মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা,নির্বাহী কর্মকর্তা,জেলা পরিষদের সদস্যবৃন্দসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।