

মোহাম্মদ আলী বান্দরবান প্রতিনিধিঃ-বান্দরবানে ইভটিজিং নির্মূল,বাল্যবিবাহ বন্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শম্পা রাণী সাহা এর ভূমিকা ইতিমধ্যে বান্দরবানে খুবই প্রশংসনীয় হয়েছে।তিনি বান্দরবানে এসে দায়িত্ব নেওয়ার পর হতে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বনের মাধ্যমে প্রায় জেলার প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গেইটে ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসা যাওয়ার রাস্তায় পাহারা দিত,কোন ছেলে কোন মেয়েকে ডিস্ট্রাব বা ইভটিজিং করছে কিনা? এই রকম কাউকে সন্দেহজনক দেখলে সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার কারনে ইভটিজিং বর্তমানে বান্দরবানে নেই বল্লে চলে।ইতিমধ্যে তিনি বেশ কয়েকটি বাল্যবিবাহ বন্ধে করতে সক্ষম হয়েছেন।বাল্য বিবাহ নিরোধে তার ভূমিকা অপরিসীম।নারী ও শিশু নির্যাতনের খবর পাওয়ার সাথে সাথে ঘটনাস্থলে তিনি ছূটে যান এবং সেখানে গিয়ে প্রকৃত অপরধীদের আইনের আওতায় নিয়ে এনে অতিদ্রুত নির্যাতিতাদের সেবা প্রদান করে থাকেন।তিনি বান্দরবানে যোগদানের পর তার দূরদর্শী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের পর থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রায় ৯০% কমে গেছে। প্রতিবেদক এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) শম্পা রাণী সাহা বলেন,আমার ফোন নাম্বার জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের অধিকাংশ নারী ও স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের নিকট রয়েছে।আমার নিকট যে কেউ ফোন করে বা মেসেজ করে যে কোন অপরাধের তথ্য পাঠালে আমি তরিৎ গতিতে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকি,আমার ফোন চব্বিশ ঘন্টা খোলা আর আমার এই সার্কেল অফিস গরীব ও নির্যাতিতা নারী ও শিশুদের অফিস।আমি ও আমার পুলিশ বাহিনী জনগনের জান-মালের নিরাপত্তা দিতে চব্বিশ ঘন্টায় সর্বোচ্চ সেবা দিতে প্রস্তুুত রয়েছে।সমাজের সচেতন নাগরিকগণ,সাংবাদিক গণ,পুলিশকে যথা সময়ে সঠিক তথ্যা প্রদান করে সাহায্য করলে পুলিশ বাহিনী আরো বেশী বেশী জনগনের সেবা প্রদান করতে ও দেশের আইন-শৃ্খংলা পরিস্থিতি স্বাভবিক রাখতে সক্ষম হবে।