

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বান্দরবানে এক সপ্তাহে মোটা চালের দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ টাকা।দাম সহনীয় রাখতে সরকার শুল্ক প্রত্যাহার করে নিলেও কতিপয় ব্যবসায়ী ও মিলারদের সিন্ডিকেটের কারণে তা নিয়ন্ত্রণে আসছে না।এ অবস্থায় রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম।বাজারে মোটা চাল ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও নিম্ম আয়ের মানুষের জন্য ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল দেওয়া হচ্ছে।বান্দরবান বাজারে বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৬ থেকে ৪৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।পাশাপাশি মাঝারি ২৮ বালাম ৫৮ থেকে ৬০ টাকা,মিনিকেট মানভেদে ৬০ থেকে ৬৩ টাকা,বাসমতি ৬৮ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।গত বুধ ও বৃহস্পতিবার প্রতি কেজি মোটা চাল ৪৪ থেকে ৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল।গত বছরের এ সময়ে কেজি প্রতি মোটা চাল ৩২ থেকে ৩৪ টাকা দরে বিক্রি হয়।জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক বলেন,বাজারে চালের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ করতে ওএমএস কার্যক্রম চালু হচ্ছে।এর মাধ্যমে বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল পর্যায়ে থাকবে।বান্দরবান জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ক্ষং খাই জানান,ওএমএস কার্যক্রমের জন্য বান্দরবানে প্রতি ওয়ার্ডে দৈনিক ৫৫০ কেজি চাল বিক্রির অনুমোদন রয়েছে।বান্দরবান পৌরসবার ৯ টি ওয়ার্ডে ৯ জন ডিলারের মাধ্যমে এই চাল বিক্রি করা হবে।বর্তমানে ওএমএস’র চাল কেজি প্রতি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হবে।সার্বিক বাজার মূল্য বিবেচনা করে এবার চালের মূল্য ৩০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বল্প সময়ের মধ্যে বাজারে চালের মূল্য স্থিতিশীল হয়ে সাধারণের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আসবে বলেও আশা করেন এ কর্মকর্তা।
বান্দরবান বাজারের ব্যবসায়ী রাশেদুল ইসলাম বলেন,বাজারে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছে।মিলারদের সিন্ডিকেট ও কারসাজির কারণে চালের দাম বাড়ছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।রবিবার সকালে জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বান্দরবানে ওএমএস কার্যক্রমের আওতায় ৩০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন,অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী,পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি আমল কান্তি দাশ,জেলা খাদ্য পরির্দষক অসিত বরন তালুকদার, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ক্ষং খাই,উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক হেম চন্দ্র চাকমা,ওএমএস কার্যক্রম এ ডিলার বিমল কান্তি দাশসহ স্থানীয় সুশলি সমাজের প্রতিনিধিরা।