

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল এর ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।গত বুধবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী বান্দরবানের আয়োজনে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা,সাংস্কৃতিক অনষ্ঠান ও পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো:শফিউল আলম এর সভাপতিত্বে এসময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ইয়াছির আরাফাত, কালেক্টরেট স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর সুকুমার দত্ত,সহকারী কমিশনার রেণু দাশ,জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা শিলাদিত্য মুৎসুদ্দি,ক্যন্ট:পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের সিনিয়র শিক্ষক মো.ইয়াকুবসহ স্থানীয় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন,১৮ অক্টোবর, ১৯৬৪ সালে শেখ রাসেল জন্মগ্রহণ করেন।পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল সর্বকনিষ্ঠ।১৯৭৫ সালে শেখ রাসেল ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রত্যুষে একদল বিপথগামী তরুণ সেনা কর্মকর্তা ট্যাঙ্ক দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডিস্থ ঐতিহাসিক ৩২ নম্বর বাসভবন ঘিরে ফেলে শেখ মুজিব তাঁর পরিবার এবং তাঁর ব্যক্তিগত কর্মচারীদের সাথে ১০ বছরের শিশু শেখ রাসেলকেও ঘাতকরা হত্যা করে।এসময় বক্তারা প্রত্যেকে শিক্ষার্থীদের শেখ রাসেলের অনুসারী হয়ে নিজের জীবন গঠনের আহবান করেন।আলোচনা সভার আগে ১৮ তারিখ সকালে বাংলাদেশ শিশু একাডেমী বান্দরবানের উদ্যোগে শিশু একাডেমী মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত চিত্রাংকন, রচনা প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন উপস্থিত অতিথিরা।
এদিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেল এর ৫৩ তম জন্মবার্ষিকী পালন করেছে বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার বান্দরবান জেলা শাখার নেতারা।সংগঠনের জেলা সভাপতি চৌধুরী রাজু বড়ুয়ার সভাপতিত্বে বান্দরবানের একটি রেস্তোরাঁর হলরুমে জন্মদিন উপলক্ষ্যে কেক কেটে শহীদ শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন করা হয়।এসময় জেলা ছাত্রলীগ সহসভাপতি ও কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমুল হোসেন বাবলু সহ যুবলীগ ছাত্রলীগ ও সেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।সংগঠনের জেলা সভাপতি রাজু বড়ুয়া এক প্রতিক্রিয়ায় এসময় বলেন,আজকের দিনটি আমাদের সংগঠনের জন্য ভীষণ আনন্দের একটি দিন আবার অন্য দিকে বেদনার দিনও বটে।পচাঁত্তুর এ ঘাতকদের নির্মমতার কাছে শিশু রাসেল এর জীবন পর্যন্ত সেদিন পরাজিত হয়েছিলো।জাতি শিশু রাসেল এর সেদিনের বলা কথা, “ভাইয়া আমাকে মারবে নাতো” উক্তি টি এখনও দেশের জনগণের চোখে অশ্রু নিয়ে আসে।সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা শহীদ শেখ রাসেল যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন।