![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2022/02/IMG-20220213-WA0026.jpg)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
রবিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১: ৩০ মিনিটে বান্দরবান জোনের সাব জোন ডুলুপাড়া,সাব জোন কমান্ডার কমান্ডার কর্তৃক ডুলু পাড়াস্থ ২ নম্বর কুহালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও অত্র ইউনিয়নের সকল কারবারি হেডম্যানদের সাথে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডুলুপাড়া সাব জোনের সাব জোন কমান্ডার ক্যাপ্টেন এ এফ এম জুলকার নাঈন ও ক্যাম্প কমান্ডার ক্যাপ্টেন সাজেদুর রহমান।অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ২ নং কুহালং ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মংপু মারমা সহ নবনির্বাচিত ওয়ার্ড সদস্য বৃন্দ সহ অত্র ইউনিয়নের সকল হেডম্যান ও কারবারি বৃন্দ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি বলেন,বান্দরবান জেলা একটি সম্প্রীতির জেলা।নানা বর্ণের ও ধর্মের মানুষ মিলেমিশে এখানে বসবাস করে।বর্তমান দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রায়ই পার্বত্য অঞ্চল তার ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে বেগ পাচ্ছে।সমস্যা হিসেবে তিনি পার্বত্য অঞ্চলের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অপতৎপরতা , প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় অনাগ্রহ ও নিজেদের অসচেতনতা কে দায়ী করে বলেন, আপনাদের সহযোগিতায় দেশের প্রশাসন হিসেবে এই পার্বত্য অঞ্চলকে সন্ত্রাস মুক্ত করা, আপনাদের এই দুর্গম এলাকায় শিক্ষার আলো পৌঁছে দেওয়া সহ আপনাদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করার ব্যবস্থা করাই আমাদের কর্তব্য। বর্তমান পার্বত্য অঞ্চলের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন পূর্বের পার্বত্য অঞ্চল আর বর্তমান পার্বত্য অঞ্চলের মধ্যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। বর্তমান মানুষ পূর্বের তুলনায় অনেকটাই সহজ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করলেও এই অঞ্চলের মানুষ নির্ভয়ে চলাচল ও জীবনযাপন করতে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, যার একমাত্র কারণ অসচেতনতা এবং এই অঞ্চলের কিছু বিপদগামী সন্ত্রাসীদের অপতৎপরতা। তাই তিনি সকলকে এই সমস্যা উত্তরণের জন্য সহযোগিতা করতে অনুরোধ করেন এবং পার্বত্য অঞ্চলকে সুখী সমৃদ্ধি ও দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার অংশীদারি অঞ্চল হিসেবে গড়ে তোলার আশ্বাস দেন। তিনি এ অঞ্চলের সকলকে প্রাতিষ্ঠানিক ও কারিগরী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে অংশগ্রহণের অনুরোধ করেন। তিনি বলেন সন্ত্রাসের পথ ছেড়ে সুশিক্ষার ছায়া তলে এসে সমাজকে আলোকিত করার মাধ্যমেই সমাজে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনা সম্ভব।
সর্বোপরি প্রধান অতিথি সকলকে বান্দরবান অঞ্চলকে উন্নয়নশীল জেলা ও আধুনিকায়ন করার জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহবান করেন। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সাধারণ জনগণ কর্তৃক উপস্থাপিত সমস্যাগুলোকে সমাধান করার ও সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আশা ব্যক্ত করেন।
আগত অতিথিদের মধ্যে ২ নং কুহালং ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মংপু মারমা বলেন, ইতিপূর্বেও সেনাবাহিনী দেশ ও দশের জন্য কাজ করে গেছেন এখনো করছেন। দেশকে অগ্রযাত্রার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সেনাবাহিনীকে যে কোন সহযোগিতা প্রদান করার কথা জানান এবং দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রার অংশীদার হিসেবে কাজ করতে চান বলেও জানান।