এই মাত্র পাওয়া :

সদা জাগ্রত সশস্ত্র বাহিনী


প্রকাশের সময় :১৭ নভেম্বর, ২০১৮ ৪:৪৮ : অপরাহ্ণ 767 Views

একটি সার্বভৌম দেশের কাঠামোর অন্যতম অঙ্গ সেই দেশের সামরিক বাহিনী বা প্রতিরক্ষা খাত। বর্তমানে আধুনিক রাষ্ট্রের স্থিতিশীলতার প্রতীক হিসেবে সামরিক বাহিনী বা প্রতিরক্ষা খাতকে বিবেচনা করা হয়। বিশ্ব মানচিত্রে অনেক দেশ আছে যারা তাদের শক্তিশালী, আধুনিক প্রতিরক্ষা বাহিনীর জন্য অনন্য ভূমিকায় পদার্পণ করেছে। অপরদিকে আরো কিছু দেশ আছে সেই দেশের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সামরিক বাহিনীর বহিঃশত্রুর আক্রমণ মোকাবিলা করতে হয়নি। এজন্য থেমে থাকেনি সেই দেশের সামরিক বাহিনীর উন্নয়ন আধুনিক যুগের সাথে তাল মিলিয়ে, অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র, যুদ্ধ জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে সেই দেশের সামরিক খাতে।

বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীরও রয়েছে সুনাম। সেই সুনাম বিশ্বের প্রতিটি কোণে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য নেয়া হয়েছে বিভিন্ন পদক্ষেপ, সংযুক্ত করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর ( সেনা, নৌ ও বিমান) সদস্যদের বিভিন্ন সুবিধা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের স্বপ্নের হাত ধরে এগিয়ে চলছে দেশের সামরিক খাতের উন্নয়ন। দেশের সামরিক খাত যেন আধুনিক উন্নত ভাবে সাজানো হয় এজন্য সর্বোচ্চ বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল দেশের সামরিক খাতে। দেশের স্থল, নৌ ও আকাশ পথ সর্বদা শত্রুমুক্ত রাখার জন্য সর্বদা সজাগ আছে দেশের সেনা, বিমান ও নৌবাহিনী।

বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার বঙ্গোপসাগর উপকূল বেষ্টিত দেশ হওয়ায় সমুদ্রপথ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারত ও মিয়ানমার থেকে সমুদ্র সীমা সঠিক ভাবে নির্ধারিত হওয়ার পর বিশাল সামুদ্রিক অঞ্চলের অধিকারী এই দেশ। সেই সাথে সমুদ্রের প্রাকৃতিক সম্পদেরও মালিকানা বাংলাদেশের। দেশের সমুদ্র সীমার ভিতর কোনো বহিঃশত্রুর অনুপ্রবেশ যাতে ঘটে এজন্য রয়েছে চৌকস নৌবাহিনী। দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ও দুঃসাহসী অবদান রেখেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী।

দেশের দুঃসময়ে যোগ্য সন্তানের মতো ঝাঁপিয়ে পড়েছে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য। শুধু তাই নয় দেশের আধুনিক উন্নয়নেও রেখেছে তারা অবদান। দেশের বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে তাদের তত্ত্বাবধানে। বিশেষ পরিস্থিতিতে দেশকে এবং দেশের মানুষকে নিরাপত্তার সাথে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর। দেশের দামাল ছেলেদের নিয়ে গড়া বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর অবদানে বাংলার আকাশও নিরাপদ।

সম্প্রতি সেনাবাহিনীতে তিনটি পদাতিক ডিভিশন, নৌবাহিনীতে দুইটি সাবমেরিন সংযোজনের মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়ন করা হয়েছে। বর্তমান সরকারের তত্ত্বাবধানে সশস্ত্র বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে আধুনিক সমরাস্ত্র যা আধুনিক বাহিনী গঠনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। জাতিসংঘ মিশন কার্যক্রমে বাংলাদেশ ট্রুপ্স কন্ট্রিবিউটিং দেশ হিসেবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে। ২০১৫- ২০১৬ ও ২০১৬- ২০১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনী জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন হতে যথাক্রমে ১৫০ মিলিয়ন ও ২০৫ মিলিয়ন ডলার আয় করে।

সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় ও আধুনিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে দেশে গড়ে উঠছে অত্যাধুনিক সশস্ত্র বাহিনী। এজন্য বিশ্বে আজ দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর নাম সমাদৃত।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!