এই মাত্র পাওয়া :

বান্দরবানের আওতাধীন (আন্তাহা পাড়া) ক্যাম্প কর্তৃক জেএসএস সদস্য আটক করে পুলিশে হস্তান্তর


প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের সময় :২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ১১:১০ : অপরাহ্ণ 447 Views

বান্দরবান জোন (আন্তাহা পাড়া ) ক্যাম্প কর্তৃক পরিচালিত একটি পেট্রোল রোয়াংছড়ি হত্যাকাণ্ডের আসামি মংয়্ইপ্রু মারমাকে আটক করে।

আজ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখে ১৭০০ ঘটিকার সময়, আন্তাহ পাড়া আর্মি ক্যাম্প এর দায়িত্বপূর্ন এলাকা হতে,রোয়াংছড়ি হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী একজন উপজাতিকে জেএসএস (মুল) দলের সদস্য ,৫ ইবি জোন কর্তৃক আটক করে ১৯০০ ঘটিকায় বান্দরবান সদর থানায় এনে রোয়াংছড়ি থানার মামলার তদন্ত কারী আফিসার এসআই জীবন চৌধুরীর নিকট হস্তান্তর করা হয়।

উল্লেখ্য যে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক ১২০০ ঘটিকায় নামঃ মংশিশে মারমা, পিতাঃ- মৃত নিসামং মারমা, গ্রামঃ নতুন পাড়া, ১নং ওয়ার্ড,রোয়াংছড়ি, বান্দরবান।রোয়াংছড়ি সেনা ক‍্যাম্প হতে ১৫০০ মিটার পূর্ব দিকে নিজ বাড়ির পাশে ছেলেকে গোসল করার সময় তাকে দুর্বত্তরা গুলি করে হত্যা করে।

উক্ত ঘটনার আসামি,জেএসএস (মূল) এর কর্মী হিসেবে চাঁদা আদায়কারি এবং জেএসএসের তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে মংয়্ইপ্রু মারমাকে সেনাবাহিনীর পরিচালিত পেট্রোল আটক করে। পরবর্তীতে তাকে বান্দরবান সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়।গ্রেফতারকৃত আসামীর ঠিকানা, নামঃ মংয়ইপ্রু মার্মা,(৩৩) পিতাঃ মংচথই মার্মা ,গ্রামঃ রোয়াংছড়ি মধ্য পাড়া,রোয়াংছড়ি ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড,পোঃ+থানা,রোয়াংছড়ি জেলাঃ বান্দরবান।উক্ত আসামী ০৫ বছর ধরে শ্বশুর মংচয়ে বং মার্মা (৭৫)
গ্রামঃ খায়ামং হেডম্যান পাড়া,নোয়াপতং ইউনিয়ান,৩ নং ওয়ার্ড রোয়াংছড়ি,বান্দরবান এর বাড়িতে বসবাস করতো বলেও জানা যায়।এছাড়াও উক্ত ব্যক্তি জেএসএস মূল দলের সক্রিয় সদস্য এবং তথ্য সংগ্রহ কারী হিসেবে কাজ করে বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। গত রোয়াংছড়ি হত্যাকাণ্ডের তথ্য সংগ্রহকারী হিসেবে কাজ করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে। উক্ত ব্যাক্তি রোয়াংছড়ি ইউনিয়নের বর্তমানে PCP সভাপতি হিসেবে কর্মরত আছে বলে জানা যায়।উক্ত আসামিকে থানায় হস্তান্তর কালে বান্দরবান সেনা জোনের জোন কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহমুদুল হাসান পিএসসি,বলেন পার্বত্য অঞ্চলে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। সর্বদা সাধারণ জনগণের জীবনমান সুখ ও সচ্ছন্দে কাটুক সে প্রচেষ্টায় পার্বত্য অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদি চাঁদাবাজি দের ধ্বংস করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। পাশাপাশি যারা পার্বত্য অঞ্চলে অশান্তি সৃষ্টি করছে তাদের উদ্দেশ্যে করে বলেন সময় থাকতে আত্মসমর্পণ করুন এবং পাহাড়ে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করুন নতুবা সেনাবাহিনীর হাত থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে না বলেও তিনি জানান।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!