বান্দরবানে বহাবহ বন্যায় সার্বক্ষণিক বন্যাদুর্গত সাধারণ মানুষকে খাদ্য,চিকিৎসা সহায়তা ও ত্রান,উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।তাদের এই মানবিক সহায়তা পেয়ে খুশি স্থানীয় জনসাধারন।সেনাবাহিনীর ত্রান কার্যক্রম পরিচালনার অংশ হিসেবে ৬৯ পদাতিক ব্রিগেড ও বান্দরবান এর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল গোলাম মহিউদ্দিন আহমেদ,এসজিপি,এনডিসি,এএফডব্লিউসি, পিএসসি,পিএইচডি এর সার্বিক নির্দেশনায় প্রতিদিনই সেনাবাহিনী বিভিন্ন মানবিক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে জনসাধারন এর মাঝে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে বান্দরবান সেনা জোনের জোনাল স্টাফ অফিসার ক্যাপ্টেন মিসবাহুল ইসলাম ফুয়াদ এর নেতৃত্বে বুধবার (১৬ই আগস্ট) বান্দরবান জেলা সদরের কালাঘাটা এলাকায় ক্ষতিগ্রস্থ বম জনসাধারণের মাঝে ত্রান সহায়তা পৌছে দেয়া হয়েছে।এসময় সেনাবাহিনীর চৌকস এই কর্মকর্তা বলেন,বন্যার্তদের সেবায় বিভিন্ন এলাকায় যারা সুবিধাবঞ্চিত পাহাড়ি জনসাধারণ আছেন তাদের কাছে আমরা ত্রান সহায়তা পৌছে দিচ্ছি এবং এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য,দীর্ঘদিন থেকে বম সম্প্রদায় হতে সৃষ্ট সন্ত্রাসী সংগঠন কুকি চিন আর্মির সাথে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অভিযান চলমান রয়েছে।অভিযানে কুকি চিন সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি চারজন সেনা সদস্যও নিহত হয়েছে।এত প্রতিকূলতার সত্বেও সেনাবাহিনী বান্দরবানে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বম সম্প্রদায়ের পাশে দাঁড়িয়েছে।সেনাবাহিনীর এই মানবিক কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়েছে স্থানীয়রা।কুকি চিন সন্ত্রাসী সংগঠন শুধু নিজেদের অযৌক্তিক অধিকার আদায়ের নামে বম জনগোষ্ঠীকে মিথ্যা আশ্বাসই দিয়ে যাচ্ছে।এই দুর্দিনে তাদের কাউকে পাশে পাচ্ছে না বম জনগোষ্ঠী।এখন পর্যন্ত কুকি চিন তাদের জনগোষ্ঠীর কোন খোঁজ খবর না নিলেও ফেসবুকসহ ভার্চুয়াল মিডিয়া তে প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মানবিক কর্মকান্ড গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য প্রপাগাণ্ডা ছড়িয়ে যাচ্ছ।