এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: জেলা শহরে অবৈধভাবে পাহাড় কাটার দায়ে ১ জনকে জরিমানা করলো মোবাইল কোর্ট বান্দরবানে নানা আয়োজনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপিত গভীর রাতে আগুনে বলিবাজারের অন্তত ১৩ দোকান আগুনে পুড়ে ছাই রেইচা সেনা চেকপোস্টে রোহিঙ্গা নারীসহ ভুয়া এনজিও কর্মী আটক বান্দরবানে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও পরিবেশ সুরক্ষা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক প্রচারনা অভিযান হেডম্যান নুরুল হক এর শারীরিক খোঁজখবর নিতে ছুটে গেলেন জেলা বিএনপি আহবায়ক রাজপুত্র সাচিং প্রু জেরী বান্দরবান পৌরসভা গণসংহতি আন্দোলনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মিলেমিশে কাজ করবোঃ অধ্যাপক থানজামা লুসাই

আলীকদম সেনা জোন কর্তৃক বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর জনসাধারনের সাথে মতবিনিময়


নিজস্ব সংবাদদাতা প্রকাশের সময় :২৭ অক্টোবর, ২০২৪ ৬:২০ : অপরাহ্ণ 285 Views

মনোরম নৈসর্গিক দৃশ্যের সমাহার ও বৈচিত্রময় সংস্কৃতি সমৃদ্ধ আমাদের এই সম্প্রীতির বান্দরবান।বান্দরবান পার্বত্য জেলা,পাহাড়ী দূর্গম এলাকা হলেও প্রাকৃতিক সম্পদ সমৃদ্ধ এবং পর্যটন শিল্প বিকাশের অপার সম্ভাবনা থাকায় এটি বাংলাদশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ জেলা।এই জেলার মধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি উপজেলা লামা এবং আলীকদম।সদর দপ্তর ২৪ পদাতিক ডিভিশনের বান্দরবান রিজিয়নের আলীকদম সেনা জোন শান্তি,সম্প্রীতি ও উন্নয়ন বজায় রাখার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

আলীকদম ও লামা উপজেলার দূর্গম পাহাড়ি এলাকার জনগণ সাধারণত প্রকৃতির উপর নির্ভর করে জীবনযাপন করে থাকে। আধুনিক শিক্ষা,চিকিৎসাসহ অন্যান্য সামাজিক সুবিধা হতে বঞ্চিত এই এলাকার সাধারণ জনগণের যে কোন দূর্যোগ মোকাবেলায় বন্ধু হয়ে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পাঁচ দশকের বেশি সময় যাবত পাশে রয়েছে।এ জেলায় বিভিন্ন জাতি, বর্ণ এবং ধর্মীয় জাতিগোষ্ঠীর বসবাস। মুরং জাতি তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য গোষ্ঠী।

এই এলাকার সার্বিক উন্নয়নের জন্য আলোচনা এবং মতবিনিময়ের নিমিত্তে আলীকদম ও লামা উপজেলার বিবিধ জাতিগোষ্ঠী মানুষের (মুরং,চাকমা,মারমা,তংচঙ্গা এবং ত্রিপুরা) মতবিনিময় সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়।

উক্ত সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেঃ কর্নেল মো.শওকাতুল মোনায়েম,পিএসসি,জোন কমান্ডার, আলীকদম জোন।এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেজর মো.মঞ্জুর মোর্শেদ,পিএসসি,জোন উপ-অধিনায়ক,আলীকদম জোন।এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ ইলেকট্রিক মিডিয়ার ব্যক্তিবর্গ।

প্রধান অতিথি পাহাড়ে বসবাসরত জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার সম্প্রসারণ,যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন,সাম্প্রদায়িক কলহ ও পাহাড়ি বাঙ্গালি দ্বন্দ,নানাবিধ গুজবের প্রচার, এলাকায় রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশ,পার্বত্য চট্টগ্রাম সন্ত্রাসবাদ নিরসনে মুরং এবং অন্যান্য (চাকমা,মারমা,তংচঙ্গা এবং ত্রিপুরা) জনগোষ্ঠীদের ভুমিকা,অবৈধভাবে বনজ ও খনিজ সম্পদ আহরণ, এলাকায় চাঁদাবাজী ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমে পদক্ষেপ, মাদক চোরাচালান রোধকল্পে পদক্ষেপ,পর্যটকদের আগমন এবং টুরিস্ট গাইড হিসাবে ব্যবহার,দায়িত্বপূর্ণ এলাকার এনজিও সংস্থা সমূহের কার্যক্রম এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠান সহায়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন।জোন কমান্ডার সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও সকল ধরণের রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত সকল জনসংখ্যার আপদকালীন সময় ছাড়াও ধর্মীয় বিভিন্ন কর্মকান্ডে সবসময় সর্বাত্মক সহায়তা প্রদান করে আসছে।ভবিষ্যতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী পার্বত্য এলাকার সাধারণ জনগণের মাঝে পাশে থেকে যে কোন প্রয়োজনে সর্বদা নিরলসভাবে কাজ করে যাবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!