এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

পার্বত্য চট্টগ্রাম নিয়ে একটি বিশেষ গোষ্ঠীর একপক্ষীয় আচরণ


প্রকাশের সময় :৫ জুন, ২০১৭ ১:৪১ : পূর্বাহ্ণ 941 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-পার্বত্য চট্টগ্রামে যে কোন ঘটনা ঘটার পরই একটি বিশেষ গোষ্ঠী সক্রিয় হয়ে উঠে।তারা সারাদেশের অন্যান্য সকল ঘটনা নিয়ে চুপ থাকলেও,পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল ঘটনা নিয়ে এরা বেশ সরব।এইক্ষেত্রেও সর্বদা তারা সরব থাকেন না। বিশেষ বিশেষ সময়ে,বিশেষ বিশেষ কারনে সরব হয়ে উঠেন।সাম্প্রতিক একজন সন্ত্রাসী পুলিশ হেফাজতে মৃত্যু বরণ করেছিলো।সেনাবাহিনী আটক করে পুলিশ হেফাজতে দেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।যখন তার মৃত্যু হলো,এই দেশের বিশেষ গোষ্ঠীটি সক্রিয়ে হয়ে উঠলো।এই তারা সেই সন্ত্রাসীর অসুস্থতাজনিত মৃত্যুকে বানিয়ে দিলো হত্যা।অতঃপর,সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে সোচ্ছার হয়ে পড়লো তারা।পার্বত্য চট্টগ্রামকে সেনাবাহিনী ধ্বংশ করে ফেললো।সেনাবাহিনী উপজাতিদের নির্যাতন করছে।আরো কত কি।অতএব,সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করো। অথচ,তার কয়েকদিন আগে মোটর সাইকেল চালক সাদিকুলকে হত্যা করেছিলো উপজাতীয় একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী।কিন্তু,তা নিয়ে এই বিশেষ গোষ্ঠীটির কোন মাথা ব্যাথায় ছিলো না।সাদিকুলের মৃত্যু নিয়ে তারা সামান্যতম কথাও বলেনি।এখন আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে এই বিশেষ গোষ্ঠীটি।এবারের প্রেক্ষাপট কিছুটা ভিন্ন।ঘটনাস্থল রাঙ্গামাটির লংগদু।কয়েক দিন আগে মোটর সাইকেল চালক এবং যুবলীগ নেতা নয়নকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।তাতে প্রতিবাদমূখর হয়ে উঠে স্থানীয় বাঙ্গালী এবং আওয়ামীলীগ।তারা যখন নয়নের জানাজা পড়ে বিক্ষোভ মিছিল করছিলো।তখন দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয় স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাড়ীঘর।অনেকে দাবি করছেন এই আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ বাঙ্গালীরা।যদিও বাঙ্গালী সংগঠনের নেতারা সেটা অস্বীকার করছেন।বাঙ্গালী নেতাদের দাবি,এই আগুন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীয় কোন সন্ত্রাসী সংগঠনের লোকজন লাগিয়েছে।কারন হিসেবে উল্লেখ করছেন,ঐসব এলাকাগুলো এতোটাই ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী অধ্যুষিত যে,সেখানে বাঙ্গালীদের অবাধ যাতায়াতও সম্ভব নয়।তবে,দেশের বিশেষ গোষ্ঠীটি এবারও সক্রিয়।তাদের সেই পুরনো দাবি।পাহাড়ে বসবাসরত বাঙ্গালীরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর লোকদের নির্যাতন করছে।ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীয় মানুষের জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই।সামরিক বাহিনীও এইসব নির্যাতনে অংশ নিচ্ছে।অতএব,পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে অবিলম্বে সেনাবাহিনী প্রত্যাহার করতে হবে।অথচ,এই ঘটনার সাথে সেনাবাহিনীর নুন্যতম সংশ্লিষ্টতাও ছিলো না। তবুও,তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সেনাবাহিনীর প্রত্যাহার চাই।তারা আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে এতো কথা বলছে।এতো হৈ চৈ করছে।অথচ,সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত নয়নের মৃত্যু নিয়ে তাদের মধ্যে কোন প্রতিক্রিয়াই ছিলো না।এখনো কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া নেই।তাদের আচরণ বরাবরের মতই একপক্ষীয় এখনো।এই বিশেষ গোষ্ঠীটি তখনি মুখ খুলে,যখন দেখছে যে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীয় মানুষের সামান্যতম ক্ষতি হচ্ছে।অথচ,পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙ্গালীদের উপর দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অত্যাচারের ব্যাপারে নীরব।পাহাড়ে প্রতিনিয়ত অস্ত্রের ঝনঝনানির ব্যাপারেও তাদের নীরবতা লক্ষণীয়।তাদের আরো বিস্ময়কর নীরবতা লক্ষ্য করা যায়,পার্বত্য চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত চলে আসা খুন,অপহরণ,চাঁদাবাজির ঘটনা নিয়েও।এদের নীরবতা কেবল তখনি ভাঙ্গে,যখন বাঙ্গালী এবং সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলার সুযোগ আসে।সে সুযোগ তারা ছেড়ে দিতে চান না।সত্যের সাথে মিথ্যে মিশিয়ে হলেও তারা সেটা বলবেনই।তারা অতীতেও এমনই বলে এসেছেন।বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থন যুগিয়েছেন।প্ররোচনা দিয়েছেন বিচ্ছিন্নতাবাদের।সন্ত্রাসীদের পক্ষ নিয়ে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কথা বলেছেন।সমাজে সুশীল সেজে তারা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে আরো বহু ষড়যন্ত্রে অংশ নিয়েছেন।লিখেছেনঃ-(মোহাম্মদ নেসার উদ্দিন)

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!