ইউপিডিএফের শীর্ষ নেতাদের সাথে নারী নেত্রীদের গোপন বৈঠক


অন্য মিডিয়া (পার্বত্য নিউজ.কম) প্রকাশের সময় :২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ৮:৩৯ : অপরাহ্ণ 702 Views

পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সন্ত্রাসী সংগঠন ইউপিডিএফ প্রসীত গ্রুপ সেনা অভিযানে কোণঠাসা হয়ে সাংগঠনিক তৎপরতা পরিচালনা করতে নারী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের দারস্থ হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইউপিডিএফের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে পরিচালিত অভিযান বিতর্কিত করতে নিরাপত্তাবাহিনীর বিরুদ্ধে নারী নির্যাতন, নারীর শ্লীলতাহানীর মতো অভিযোগ তৈরীর পরিকল্পনা করেছে তারা।
এছাড়াও ইউপিডিএফ নেতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান ঠেকাতে, যোগাযোগসহ সাংগঠনিক বিভিন্ন কাজ পরিচালনার জন্য নারী কর্মীদের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি, প্রশাসন ও মিডিয়ার সাপোর্ট পেতেও সংশ্লিষ্টদের সাথে সুন্দরী নারীদের যোগাযোগ ও সম্পর্ক বৃদ্ধির নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এলক্ষ্যে নিজ দলীয় নারীকর্মী ও সমর্থকদের ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এলক্ষ্যে চলতি মাসের ১৮ তারিখে রাঙামাটি জেলার কাউখালীতে ইউপিডিএফ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ তাদের নারী নেত্রীদের সাথে একটি গোপন বৈঠকে মিলিত হয়েছে বলে জানতে পেরেছে রাষ্ট্রের একটি প্রভাবশালী গোয়েন্দা সংস্থা। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জন্য তাদের প্রণীত একটি রিপোর্টে এ তথ্য জানা গেছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, ইউপিডিএফের সহযোগী অঙ্গসংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশন (HWF)’এর কেন্দ্রীয় শীর্ষ পদসমূহসহ ভয়ংকর নারীদের স্বর্গরাজ্য কাউখালী উপজেলার কচুখালী পাড়া। এইপাড়াতে থেকেই ইউপিডিএফ নারী টিমের নেত্রী দয়া সোনা চাকমা বর্তমানে শীর্ষ পর্যায়ের নেত্রী হয়েছে৷ বর্তমানে সুন্দরী নারী টিমের মধ্যে ভয়ংকর কয়েকজন নারী নেত্রী রয়েছে। এদের নাম হচ্ছে, কোহেলী চাকমা, রূপসী চাকমা (রুপ্প), এন্টোনা চাকমা (এন্টি), জেসি চাকমা, ইশা চাকমা (বাবুর বউ), জোনাকি চাকমা, মিতালি চাকমা প্রমুখ।
গোপন সূত্রে জানা যায়, ইউপিডিএফ এর কেন্দ্রীয় সশস্ত্র কমান্ডার সজীব চাকমা, অর্কিড বাবু ও কাউখালী ইউনিটের বর্তমান সভাপতি কার্তিক চাকমা গত ১৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) উপজেলার একটি গোপন স্থানে সকাল ১১টায় বৈঠক করে। উক্ত বৈঠকে ইউপিডিএফের কোণঠাসা হয়ে পড়া সাংগঠনিক তৎপরতা নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা হয়।
এসময় নেতাকর্মীদের মনোভাব চাংগা ও সাংগঠনিক তৎপরতার পাশাপাশি পুলিশ ও প্রশাসনকে ম্যানেজ করতে সুন্দরী নারী টিমের সদস্যদের পরামর্শ দেওয়াসহ দলীয় কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার জন্য মূলত বৈঠকটি হয় বলে জানা যায়৷
সূত্র মতে, এই বৈঠকে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদিকা মন্টি চাকমার উপস্থিত থাকার কথা ছিলো। কিন্তু চট্টগ্রামে তাদের আরেকটি পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচী পালন করতে গিয়ে নির্ধারিত সময়ে ফিরতে পারেননি তিনি। যার কারণেই মন্টি চাকমা উপস্থিত হতে পারেননি।
পার্বত্য যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রুপম মারমার (প্রু মারমা) সঞ্চালনায় এবং কার্তিক চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সচিব চাকমা। বৈঠকে বিশেষ বক্তা হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্কিড বাবু।
সূত্র জানিয়েছে, পার্বত্য অঞ্চল জুড়ে সেনাবাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানে কোনঠাসা হয়ে পড়া ইউপিডিএফ’কে নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি জেএসএস (সন্তু), জেএসএস (সংস্কার) এবং ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)’কে মোকাবেলা করতে হচ্ছে। আর এসব মোকাবেলা করতে প্রয়োজন অর্থনৈতিক শক্তি। রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহরে দলটির গাড়ী ব্যবসাসহ বেশ কিছু অর্থনৈতিক চালিকা শক্তির কথা শোনা গেলেও মূল অর্থের যোগান আসে পার্বত্য অঞ্চলে চাঁদাবাজী থেকে।
কিন্তু নিরাপত্তাবাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী অভিযানের মুখে দলটির চাঁদার উৎস অনেকাংশে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দূর্বল হয়ে পড়েছে তাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম। ফলে ঘুরে দাঁড়াতে তাদের নতুন ছক আঁকতে হচ্ছে। আর সেই ছকের মূল নকশা হলো সুন্দরী নারীদেরকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা।
ইউপিডিএফ নিয়ন্ত্রিত নারী সংগঠনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে হিল উইমেন্স ফেডারেশন (HWF)। এ সংগঠনের বেশীর ভাগ সদস্যই স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত। এর মধ্যে অধিকাংশ নারী সদস্যরই লেখাপড়ার খরচ যোগায় ইউপিডিএফ। ফলে এই মূহুর্তে চাওয়া পাওয়াটা তাদের কাছেই বেশী ইউপিডিএফ’র। সূত্র জানিয়েছে, সেনা অভিযানকে বিতর্কিত করতে এবং পুলিশ বাহিনীকে ঘায়েল করতে হিল উইমেন্স ফেডারেশন থেকে বাছাই করা সুদর্শনা, সুন্দরী সদস্যদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
এ লক্ষ্যে ইউপিডিএফ তাদের সহযোগী সংগঠন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের নারী সদস্যদের নিয়ে কাউখালীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু স্থানে গোপন বৈঠকের খবর নিশ্চিত করেছে একাধিক সূত্র। বৈঠকে চলমান সেনাবাহিনীর অভিযান ও পুলিশকে টার্গেট করতে দায়িত্বপ্রাপ্ত নারী সদস্যদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
তাদের নির্দেশনা অনুসারে মাঠে কাজ করছে একাধিক নারী গ্রুপ। তাদের কাজ হচ্ছে পুলিশ ও প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলা। এ ক্ষেত্রে যা যা ছাড় দেয়া দরকার তাও দিতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তরুন সদস্যদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলার পাশাপাশি সেনাবাহিনী বা পুলিশ কোথাও অভিযানে গেলে সে ক্ষেত্রে এসব নারী সদস্যদেরকে অগ্রভাবে থেকে প্রতিরোধ বা প্রতিহত করার নির্দেশনা দেয়া আছে।
তারা জানে দূর্গম অঞ্চলে অভিযানে সেনাবাহিনী বা পুলিশের কোন নারী সদস্য থাকে না। সে ক্ষেত্রে অভিযানকে বিতর্কিত করতে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারে এসব নারী সদস্যরা। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কাউখালীর দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় সদস্য দয়া সোনা চাকমা, কোহেলী চাকমা, রূপসী চাকমা (রুপ্প), এন্টোনা চাকমা (এন্টি), জেসি চাকমা, ইশা চাকমা, জোনাকি চাকমা, মিতালি চাকমা। এরা প্রকাশ্যে ইউপিডিএফ এর সাংগঠনিক কার্যক্রমের সাথে যুক্ত রয়েছে।
বৈঠকে বলা হয়, সেনাবাহিনীর অভিযানের ফলে কাউখালীসহ পার্বত্য চট্টগ্রামের কয়েকটি স্থানে ইউপিডিএফ কোণঠাসা হয়ে গভীর পাহাড়ে চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা সদর এলাকায় তারা নিয়ন্ত্রণ নিতে পারছে না। এমতাবস্থায় প্রশাসনকে নাজেহাল করতে কতিপয় নারী নেত্রীর মাধ্যমে সাংগঠনিক তৎপরতা এগিয়ে নিতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
পার্বত্য চট্টগ্রামসহ ঢাকা-চট্রগ্রামে ইউপিডিএফ কর্তৃক ঘোষিত সকল কর্মসূচী বাস্তবায়নের পাশাপাশি নেতাকর্মীরা গ্রেফতার হলে তাদের মামলা থেকে কৌশলে বাদ দিতে পুলিশের সঙ্গে গভীর সখ্যতা গড়ে তোলায় ভূমিকা রাখার জন্য তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে৷
রিপোর্টে বলা হয়েছে, পার্বত্য অঞ্চলে ইউপিডিএফের বিরুদ্ধে অস্ত্র বা চাঁদাবাজির মামলা হলে মামলার তদন্ত কর্মকতা বা আইওকে সুন্দরী নারীর টোপ দিয়ে ইউপিডিএফ সদস্যদের মামলার চার্জসিট থেকে বাদ দিতে কাজ করে থাকে তারা। তাদের তৎপরতার কারণে, মামলার চার্জসিটে অভিযুক্ত না থাকায় আদালত অস্ত্র মামলা ও চাঁদাবাজির মামলার আসামীদের জামিন দিয়ে থাকেন এবং মামলা থেকে মুক্তি প্রদান করে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, কাউখালী কচুখালী এলাকায় সক্রিয় ভূমিকায় থাকেন হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সুন্দরী নারী নেত্রীরা। যার কারণে সেখানে ইউপিডিএফের পুরুষ সদস্যরা আশ্রয়ে আসলে তখন তাদের আটক অভিযানে সেনাবাহিনী বা পুলিশ গেলে অভিযানে নিয়োজিত সদস্যদের উপর সুন্দরী নারী নেত্রীরা আক্রমণ করে নাজেহাল করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চলতি বছরের প্রথমদিকে সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে রাংগামাটি সেনা জোন থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উক্ত এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় অভিযান পরিচালনা করতে গেলে সুন্দরী নারী নেত্রীদের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হয়ে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের আটক করতে পারে নি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কচুখালী কলেজ সংলগ্ন ভাড়া বাসায় ইউপিডিএফ এর হিল উইমেন্স ফেডারেশনের ৩০-৩৫ জনের একটি স্পেশাল নারী টিম নিয়মিত থাকেন। এদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কাউখালী ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনার নাম করে ইউপিডিএফ এর সাংগঠনিক কার্যক্রম পরিচালনা করে বলে জানা যায়। এই নারী নেত্রীদের বাসায় নিয়মিত ইউপিডিএফ এর কেন্দ্রীয় শীর্ষ নেতারা যাতায়াত করেন বলেও জানা যায়।
ভয়ংকর নারী টিমের বেশিরভাগ মেয়ে সুন্দরী যাদের দিয়ে প্রশাসনের ব্যক্তিদের ঘায়েল করতে কৌশল অবলম্বন করা হয়। মিতালি চাকমা, ইশা চাকমা, জোনাকি চাকমা, রূপসী চাকমা ও কোহলি চাকমা জাল বিস্তার করে কচুখালী ও সদর এলাকায় ওঁতপেতে আছে। পার্বত্য অঞ্চলের বিভিন্ন স্থান থেকে সহজসরল উপজাতি মেয়েদের এনে ইউপিডিএফ এর নারী সংগঠনে যুক্ত করতে মাঠ পর্যায় কাজ করছে উক্ত নারী টিম। দল ভারী করতে ১৮ থেকে ২০ বছর বয়সের গরীব অসহায় উপজাতি মেয়েদের বিভিন্ন স্থান থেকে এনে ইউপিডিএফ এর নারী সংগঠনে জোর পূর্বক যুক্ত করতে বাধ্য করার অভিযোগও রয়েছে।
এ বিষয়ে পার্বত্য বাঙালি নারী নেত্রী বেগম নুরজাহান পার্বত্যনিউজকে বলেন, এটা নতুন কিছু নয়। যুগে যুগে দেখা গেছে পাহাড়ী সন্ত্রাসীরা নারীদেরকে তাদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য ব্যবহার করে থাকে। বিদেশী ডেলিগেট আসলে তাদের সামনেও নারীদের ঠেলে দেয়। নিরাপত্তা বাহিনী কোনো অপারেশন চালাতে গেলে তারা সুন্দরী নারীদের সামনে ঠেলে দেয়। খাগড়াছড়িতে সীমান্ত ক্যাম্প নিয়ে একটি ঘটনায় সম্প্রতি তারা নারীদের এভাবে ব্যবহার করেছে। এই নারীদের কারণে এখানে কোনোকিছু করা নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষে অনেক সময়ই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
পার্বত্য নাগরিক পরিষদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও রাঙামাটি জেলার দায়িত্বশীল হাবিবুর রহমান পার্বত্যনিউজকে বলেন, এ ধরণের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আমরাও শুনেছি। তবে প্রশাসন, পুলিশ, নিরাপত্তা বাহিনী ও সাংবাদিকদের ম্যানেজ করার জন্য বা বেকায়দায় ফেলার জন্য পাহাড়ী সংগঠনগুলোর হাতিয়ার হিসেবে নারীদের ব্যবহারের এই কৌশল পুরাতন। বছর দুয়েক আগে বিলাইছড়িতে সেনাবাহিনীর সন্ত্রাস বিরোধী চিরুণী অভিযানকে বিতর্কিত করতে জেএসএস (সন্তু গ্রুপ) কতিপয় মারমা নারীদের ব্যবহার করেছিল।
তিনি বলেন, নানিয়ারচরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপর নারীদের দিয়ে হামলা করায় তারা। এছাড়াও, রাঙামাটি শহরের রাঙাপানি এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনী চাঁদাবাজদের আটক করতে গেলে তাদের বিরুদ্ধে নারী কর্মীদের দিয়ে লাঠিসোটা নিয়ে হামলা করায় উপজাতীয় সন্ত্রাসীরা। এসব ঘটনার ভিডিও করে তারা আবার স্যোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয় নিরাপত্তা বাহিনীর ভাবমর্যাদা কলঙ্কিত করতে। আমরা মনে করি, প্রশাসন সন্ত্রাসী ও তার সমর্থকদের সন্ত্রাসী হিসেবেই বিবেচনা করবে, হোক সে নারী বা পুরুষ। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
এ ব্যাপারে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক নীতি শোভা চাকমার সাথে একাধিকবার চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

 

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
December 2024
M T W T F S S
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!