এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: নানা আয়োজনে বান্দরবানে উদযাপিত হলো বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস বান্দরবানের লামা উপজেলা ওলামা দলের আহবায়ক কমিটি ঘোষনা নানা কর্মসুচীর মধ্য দিয়ে বান্দরবানে আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস পালিত স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণঃ পুলিশের জালে ধর্ষক রাসেল বড়ুয়া বান্দরবানে নীরব দুর্ভিক্ষ চলছেঃ কাজী মো.মজিবর রহমান বান্দরবানে শেষ হলো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় অনুষ্ঠান প্রবারণা পূর্ণিমা বান্দরবানে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত শান্তি,সম্প্রীতি সর্বোপরি ভ্রাতৃত্বের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে উঠুক বান্দরবানঃ লে.কর্নেল হুমায়ুন রশীদ,পিএসসি

বম সম্প্রদায়ের প্রথম ভাষার অভিধান


প্রকাশের সময় :৬ নভেম্বর, ২০১৭ ৩:১৩ : পূর্বাহ্ণ 784 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-পার্বত্য চট্টগ্রামের বম সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষা ও বর্ণমালা থাকলেও তাদের ভাষার কোনো পূর্ণাঙ্গ অভিধান ছিলনা। ফলে ভাষা চর্চাসহ সংস্কৃতি রক্ষায় নানা সমস্যায় পড়তে হতো তাদের।এখন বম ভাষার নতুন অভিযান রচিত হওয়ায় এই সমস্যা অনেকাংশে কেটে যাবে বলে আশা করছেন এই সম্প্রদায়ের লোকেরা।গতকাল রোববার বম প্রথম ভাষার অভিধান বই এর মোড়ক উন্মোচন করা হয়েছে বান্দরবানে।বম থেকে ইংরেজি এবং বাংলা ভাষায় অভিধান বইটি উন্মোচন করেন জেলা পরিষদের সদস্য এবং বম সোস্যাল কাউন্সিলের সভাপতি জুয়েল বম।শহরে উজানী পাড়ায় বমদের একটি কমিউনিটি হলে অভিধানটি উন্মোচন করা হয়।এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরষদের সদস্য জুয়েল বম।অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সদস্য সিং ইয়ং ম্রো,ফিলিপ ত্রিপুরা,বম সম্প্রদায়ের নেতা জুয়াম লিয়ান আমলাই,জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি অংচমং মারমা এবং লালচোংনু লুসাই।এছাড়া বম সোস্যাল কাউন্সিলের সাবেক এবং বর্তমান সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথির বক্তব্যে জুয়েল বম বলেন,যেকোনো ভাষায় অভিধান তৈরি গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ,কিন্তু সহজ নয়।দীর্ঘদিন কঠোর পরিশ্রমের পর তৈরি করা এ অভিধানের মাধ্যমে বম সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।বইয়ের লেখক জুয়ারলেথাং কে. রেমা।তিনি ভারতের মহারাষ্ট্রে ইউনিয়ন বিবলিক্যাল সেমিনারি থেকে ৮৮ সালে ব্যাচেলর ডিগ্রি, ৯৫ সালে একই প্রতিষ্ঠান থেকে ধর্মতত্ত্বের উপর ডিগ্রি নিয়েছেন। এরপর ২০০৯ বাংলাদেশে বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয় শান্তা মারিয়াম থেকে ম্যাটার অব সোস্যাল সাইন্সের উপর মাস্টার্স ডিগ্রি নেন।অভিধান বই উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন,বমদের অনেক শব্দ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আর যা আছে নতুন প্রজন্মরা জানেই না।ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কথা ভেবে এ উদ্যোগটি নিতে হয়েছে।অভিধানটি তৈরি করতে তার ১২ বছর সময় লেগেছে।বম ভাষার পাশাপশি ইংরেজি এবং বাংলা যুক্ত করায় ভুল-ত্রুটি থাকতে পারে। এগুলো পরবর্তী সংস্করণে সংশোধন করা হবে বলে জানান তিনি।এর আগে বম ভাষায় একটি অভিধান রচনা করা হয়।কিন্ত রচনার সাল উল্লেখ না থাকলেও দ্বিতীয় অভিধানটি রচনা করা হয় ২০০৫ সালে।কিন্তু অভিধানটি ছিল শুধু বম ভাষায়।এবার অভিধানটি বম ভাষার পাশাপাশি ইংরেজি এবং বাংলা ভাষায় তৈরি করা।পার্বত্য চট্টগ্রামে এগারটি নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বমদের বসবাস একমাত্র বান্দরবান জেলায়।তাদের জনসংখ্যা প্রায় বার হাজার।(((পরিবর্তন.কম)))

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
October 2025
MTWTFSS
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!