![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2018/04/IMG_20180410_164416.jpg)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
পর্যটন ডেস্কঃ-কর্মব্যস্ত জীবনে ছুটি পেলে আমরা সবাই চাই শহুরে জীবন থেকে দূরে প্রকৃতির কাছে কিছু সময় কাটাতে।এতে মন ভাল হওয়ার পাশাপাশি এক অন্যরকম প্রশান্তি পাওয়া যাবে। যা আপনাকে আবার নতুন উদ্যমে কাজ করতে সাহায্য করবে।প্রকৃতির কাছে এমনই এক জায়গা হচ্ছে নাফাকুম।বান্দরবান জুড়েই রয়েছে ঘুরে দেখার অনেক জায়গা।মনে হয় প্রকৃতি তার সৌন্দর্যের সবটাই উজার করে দিয়েছে বান্দরবানকে।পাহাড়, সবুজ আর মেঘের এক অদ্ভুত মিলনমেলা এই জায়গা।প্রাকৃতিক জলপ্রপাত নাফাকুম বান্দরবান জেলার থানচী উপজেলায় অবস্থিত।ভ্রমণপিপাসু মানুষের কাছে অন্যতম পছন্দের জায়গা হচ্ছে নাফাকুম।জলপ্রপাতটি রেমাক্রি হয়ে সাঙ্গু নদীতে মিলেছে।সেই মিলনস্থলে সৃষ্টি হয়েছে রেমাক্রী ফলস।অসাধারণ সৌন্দর্যের অধিকারী এই জায়গাটি ভ্রমণপ্রিয় মানুষের একবার হলেও যাওয়া উচিত।রেমাক্রী বাজার থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নাফাকুম।রেমাক্রী মারমা অধ্যুষিত এলাকা।সেখান থেকে ট্রেকিং করে যেতে পারবেন নাফাকুম।শুরুতেই ভাল একজন গাইড সাথে নিয়ে নিতে হবে।যাওয়ার পথটা বেশ কঠিন।কিন্তু নাফাকুম পৌঁছে এর সৌন্দর্য দেখে সব কষ্ট ভুলে যাবেন।অদ্ভুত এই ঝর্ণা বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি আছে কিনা সন্দেহ।তবে এখানে আপনি মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন না।বর্ষাকালে এইখানে যাওয়া বিপদজনক।এসময় সাঙ্গু নদীর পানির স্রোতও অনেক বেশি থাকে।তাই বর্ষাকাল শেষে কিংবা শীতে যাওয়াটা ভাল।থানচী থেকে ট্রলারে করে রেমাক্রী যাওয়ার ভ্রমণটাও অনেক উপভোগ্য।আশেপাশের সবুজ প্রকৃতি আপনাকে নিয়ে যাবে অন্য ভুবনে।এই সৌন্দর্যের কোন তুলনা চলেনা।সাঙ্গু খরস্রোতা নদী। তাই সাঙ্গু দিয়ে ট্রলারে যাওয়ার সময় যথেষ্ট সতর্কতা অবলম্বন করা ভাল।তবে গ্রুপ করে যাওয়াটাই বেশি ভাল।অনেকে বন্ধু-বান্ধব নিয়ে ক্যাম্পিং-এ যান নাফাকুম।পাথর চিরে ঝরছে স্বচ্ছ পানি।দেখে মনে হতে পারে শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি। এখানের মনোমুগ্ধকর প্রকৃতি আপনাকে দিবে প্রশান্তি।শহুরে জীবন থেকে দূরে এখানে দূর হয়ে যাবে সব ক্লান্তি।পথে দেখবেন রাজা পাথর এলাকা। যেখানে রয়েছে বিশাল বিশাল পাথর।প্রতি বছর অনেক পর্যটক নাফাকুমে ঘুরতে যান।নাফাকুম যেতে হলে প্রথমেই যেতে হবে বান্দরবান।ঢাকা থেকে সরাসরি বাসে যাওয়া যাবে।অনলাইন টিকেট কাটতে পারে সহজ থেকে।বান্দরবান থেকে লোকাল বাস কিংবা চান্দের গাড়ি করে যেতে হবে থানচী। সেখান থেকে রিসার্ভ ট্রলার করে রেমাক্রী বাজার। সেখান থেকে প্রায় ৩ ঘন্টা পায়ে হাঁটা পথ।তারপরই দেখা মিলবে অসাধারণ সুন্দর এই জলপ্রপাতটির। আর থাকার জন্য থানচী বাজারে কিছু গেস্ট হাউজ রয়েছে।তাছাড়া রেমাক্রীতে আদিবাসীদের বাড়িতেও থাকার ব্যবস্থা করা যায়।অনেকে অবশ্য ক্যাম্প করেও থাকেন।