এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

সীতাকুণ্ডু আস্তানার জঙ্গিদের ৪ জনের বাড়িই বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িতে


প্রকাশের সময় :১৮ মার্চ, ২০১৭ ৮:১০ : অপরাহ্ণ 1843 Views

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ- সীতাকুন্ডু পৌরসভার প্রেমতলা ও আমিরাবাদ এলাকার দুটি বাসা ভাড়া নিয়েছিল জঙ্গিরা।দুই বাসায় থাকা ছয় জঙ্গির চারজনই আত্মীয়।তাদের মধ্যে দুজন আত্মঘাতী বিস্ফোরণে মারা গেছে।অন্য দুজনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ।তারা হলেন জুবাইয়ারা ইয়াসমিন ও জহিরুল হক (জসিম)-যারা আপন ভাই-বোন।বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারীতে জঙ্গী জুবাইরা ইয়াসমিনের বাবা-মা’র সাথে কথা বলেছে পুলিশ।পুলিশ জানাচ্ছে,এই ২ জঙ্গি বাইশারী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের যৌথ খামারপাড়ায় বসবাসকারী নুরুল আলম এবং জান্নাত আরার সন্তান।অন্যদিকে জুবাইরা ইয়াসমিনের স্বামী কামাল হোসেন বাড়িও বাইশারীর যৌথ খামারপাড়ায়।জুবাইরা ইয়াসমিনের মা জান্নাত আরা জানায়,৮ ছেলে এবং ৪ মেয়ের মধ্যে ৩ জনের কোন হদিস নেই।স্বামী কামাল হোসেন জুবাইরা ইয়াসমিনকে নিয়ে যায় এবং কিছুদিন পর ছেলে জহিরুল হক তাদের সাথে চলে যায়।জুবাইরার একটি ছেলে হলে সন্তানের দেখা-শোনার কথা বলে তার আরেক মেয়ে মনজি বেগমকে (১৬) চট্টগ্রামে নিয়ে যায়।গত ৮ মাস আগে থেকে তাদের কোন খবর পান না বলে জানান তিনি। তিনি আরো জানান,কামাল ও জুবাইরা বেশ ধার্মিক ছিল।নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন আহবায়ক তসলিম ইকবাল চৌধুরী বলেন,বিশেষ করে বাইশারীতে কিছু মৌলবী ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে এসব কাজে স্থানীয়দের উদ্ভুদ্ধ করছে,এটা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।তিনি আরো বলেন,বাইশারীর লোক যে জঙ্গী কাজে জড়িত এই ঘটনায় আমরা বেশ লজ্জিত।পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গত জানুয়ারি মাসে কক্সবাজারের রামুর মো.জসিম উদ্দিন পরিচয়ে প্রথমে প্রেমতলার ‘ছায়ানীড়’ বাড়ির নিচতলার একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেয় জঙ্গিরা।এরপর ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে জসিম উদ্দিন পরিচয়ে প্রেমতলা থেকে এক কিলোমিটার দূরে হিন্দু অধ্যুষিত এলাকা আমিরাবাদের ‘সাধন কুটির’ নামের বাড়ির ফ্ল্যাটটিও ভাড়া নেওয়া হয়।আরো জানা গেছে,এই জঙ্গীরা গত ডিসেম্বর থেকে চট্টগ্রামের পটিয়া পৌর সদরের ৩নং ওয়ার্ডের আমির ভান্ডার রেল গেইট এলাকার নুরুল আমিন মুন্সির পাকা ভবনের ৩য় তলায় ভাড়া থাকলেও তারা গত ফেব্রুয়ারির শেষ দিকে বাসা ছেড়ে চলে যান, পরে তারা সীতাকুন্ডের এই বাড়ি ভাড়া নেন।এই ব্যাপারে পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মো.নেয়ামত উল্লাহ বলেন,গত শুক্রবার বিকালে পটিয়ায় বাড়ির মালিক নুরুল আমিনকে সীতাকুন্ডে নিহতদের ছবি দেখালে তিনি তার বাড়িতে নিহতরা ছিলেন বলে সনাক্ত করেন।আরো জানা গেছে,গত ৭ মার্চ টঙ্গীতে ‘জঙ্গি নেতা’ মুফতি হান্নানকে প্রিজন ভ্যান থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টার পরের দিন কুমিল্লায় পুলিশের ওপর বোমা হামলা করে দুই জঙ্গি।যাত্রীবাহী বাসে নিরাপত্তা তল্লাশির সময় এ হামলার ঘটনা ঘটে।স্থানীয়দের সহায়তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জঙ্গি জহির ওরফে জসিম (২৫) এবং হাসানকে (২৪) আটক করে।আর এই হাসানের বাড়ি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারির করলিয়া মোড়া এলাকায়,তার পিতার নাম নুর হোসেন।এই ব্যাপারে বাইশারী পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) আবু মুসা বলেন,সীতাকুন্ডে নিহত বাইশারির জুবাইরা ইয়াসমিন তার স্বামী ও ভাইদের সাথে কুমিল্লায় বাসে জঙ্গী হামলার ঘটনায় হাসানের সাথে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল বলে আমরা তথ্য পেয়েছি।এদিকে দেশের আলোচিত এই জঙ্গী হামলা এবং নিহত ও আহত হবার ঘটনায় বান্দরবান জেলা জুড়ে চলছে তোলপাড়।মিয়ানমার সীমান্তবর্তী জেলার নাইক্ষ্যংছড়ির জঙ্গীদের বাসস্থান হওয়ার কারণে অনেক ধারণা করছে জঙ্গিরা মিয়ানমারের বিদ্রোহী সংগঠন রোহিঙ্গা সলিডারি অর্গানাইজেশন (আরএসও)সহ বিভিন্ন সশস্ত্র সংগঠন থেকে বিস্ফোরক দ্রব্য ও অস্ত্র সংগ্রহ করে জেএমবিসহ বিভিন্ন জঙ্গী গ্রুপের অনুসারি হয়ে হামলা করছে।নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম জানান, সীতাকুন্ডের নিহতদের বাড়ি যে বাইশারীতে এটা আমরা নিশ্চিত,পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও বিষযটি নিশ্চিত হয়েছে।প্রসঙ্গত,সীতাকুণ্ড ছায়ানীড় বাড়ি থেকে গ্রেনেড ও বিস্ফোরক উদ্ধার এবং পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা করে।অন্যদিকে সাধন কুটির থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধারের ঘটনায় জসিম ওরফে জহুরুল ইসলাম এবং আরজিনা ওরফে রাজিয়া সুলতানার বিরুদ্ধে একই থানায় সন্ত্রাস দমন আইন,অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে।বান্দরবানের পুলিশ সুপার সঞ্জিত রায় বলেন,আমরা এই বিষয়ে কাজ করছি এবং নাইক্ষ্যংছড়ির বিভিন্ন এলাকায় জঙ্গি বিরোধী অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছি,যে কোন সময় এই অভিযান শুরু করা হবে।এসময় তিনি জঙ্গীদের বিষয়ে যে কোনও তথ্য পাওয়া মাত্র নিকটস্থ পুলিশ কতৃপক্ষকে জানানোর আহবান জানিয়েছেন।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!