

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-ক্যাম্পে আগুনে পুড়ে দগ্ধ চার রোহিঙ্গাকে বান্দরবানের ঘুনধুম ইউনিয়নে স্থাপিত রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে আনা হলে সেখানে তারা মারা যায়।বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে না জানিয়ে লাশগুলো গোপনে দাফন করা হয়।বিষয়টি সম্পর্কে জানতে গেলে শনিবার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ইউএনও এস এম সরওয়ার কামাল ও কক্সবাজারের উখিয়ার ইউএনও নিকারুজ্জামানের সাথে দুর্ব্যবহার ও তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দেয়।এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক।তিনি বলেন,বিষয়টি সরকারের উচ্চপর্যায়ে জানানো হবে।জানা গেছে,গত বৃহস্পতিবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং ট্রানজিট পয়েন্ট এলাকায় অবস্থান নেয়া রোহিঙ্গা নাগরিক আবদুর রহিমের তাঁবুতে জ্বলন্ত মোম থেকে অগ্নিকাণ্ডে তার স্ত্রী ঘুমন্ত নূর সাবা (৩০),ছেলে আমিন শরীফ (৮),দিলশান বিবি (১২) ও আসমা বিবি (৫) আহত হয়।পরে তারা হাসপাতালেই মারা যায়।ওই হাসপাতালটি নরওয়ে ও ফিনল্যান্ডের অর্থায়নে ১০ জন ডাক্তার ও ৪০ জন নার্স দ্বারা রেড ক্রিসেন্ট পরিচালনা করছে।হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রশাসনকে বিষয়টি জানায়নি। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ইউএনও সরওয়ার কামাল জানান,রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালটি নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমানার ঘুনধুমে অবস্থিত।অগ্নিকাণ্ডে চার রোহিঙ্গার মৃত্যুর বিষয়টি জানতে তারা হাসপাতালে গেলে সেখান থেকে তাদের থেকে বের করে দেন সেখানে কর্মরত একজন বিদেশী নাগরিক।তাদের সাথে এ সময় পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও ছিলেন বলে জানান ইউএনও সরওয়ার কামাল।বান্দরবানের জেলা প্রশাসক দিলীপ কুমার বণিক জানান,বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক।পরিচয় দেয়ার পরও তারা কর্মকর্তাদের হাসপাতাল থেকে বের করে দিয়েছে।প্রশাসনকে অনেক বিষয় গোপন করা হচ্ছে।বিষয়গুলো সরকারের উচ্চপর্যায়ে লিখিতভাবে জানানো হবে।এ প্রসঙ্গে ওই হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর ডা:বেলাল হোসেন বলেন,বিদেশী ওই নাগরিক দুই ইউএনওকে চিনতে পারেননি।প্রশাসনের লোকজনকে প্রবেশে বাধা দেয়ার বিষয়টি দুঃখজনক।এ জন্য রোববার জেলা প্রশাসকের সামনে দুই ইউএনওর কাছে ওই বিদেশী নাগরিক ক্ষমা চাইবেন।