এই মাত্র পাওয়া :

শিরোনাম: আসন্ন দুর্গাপূজার প্রস্তুতি নিয়ে হিন্দু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বান্দরবানে মহিলা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ও সমাবেশ বান্দরবান বাজার এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষিত পলিথিন এর বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বিএনকেএস এর উদ্যোগে টেকনাফের ক্যাম্প-২২ এ শিশু শিক্ষার্থীদের নিয়ে বর্ণিল আয়োজনে স্বাক্ষরতা দিবস উদযাপিত ঢাকায় পার্বত্য উপদেষ্টার সঙ্গে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাষ্ট্রদূতদের সাক্ষাৎ বান্দরবান সার্বজনীন কেন্দ্রীয় বৌদ্ধ বিহারে শুভ মধু পূর্ণিমা উদযাপিত বান্দরবান ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজ ক্ষুদে বিজ্ঞানীদের প্রকল্প প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত ক্যালেন্ডার মেনে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

ইসলামে ধর্ষকের সাজা


সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৩ এপ্রিল, ২০১৯ ৭:৫৮ : অপরাহ্ণ 781 Views

ধর্ষণ একটি ভয়াবহ সামাজিক ব্যাধি। সাম্প্রতিক কালে বহুল আলোচিত হয়ে উঠেছে ধর্ষণ শব্দটি। প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে প্রায় প্রতিদিনই চোখে পড়ে ধর্ষণের নানা ঘটনার খবর। গ্রামে কিংবা শহরে, বাড়িতে কিংবা রাস্তায়, অফিসে বা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমনকি চলমান বাসে পর্যন্ত, একথায় বলা চলে প্রায় সর্বত্রই ঘটছে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনার। এটি কারো একার পক্ষে প্রতিরোধ করা সম্ভব না প্রয়োজন পারিবারিক ও সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা। ইসলামসহ কোন ধর্মেই ধর্ষণের মতো ন্যক্কারজনক কাজকে উৎসাহিত করা হয়েনি।
বিবাহবহির্ভূত যেকোনো যৌন সঙ্গমই ইসলামে অপরাধ। ইসলাম ধর্ষণকে ভিন্নভাবে সংজ্ঞায়িত করে না। ধর্ষণকে এক প্রকার ব্যভিচার হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। ব্যভিচার সুস্পষ্ট হারাম এবং শিরক ও হত্যার পর বৃহত্তম অপরাধ। ইসলামি আইন শাস্ত্রে ধর্ষকের শাস্তি ব্যভিচারকারীর শাস্তির অনুরূপ। কোরআনের সুরা আল ইসরা’র ৩২ নম্বর আয়াতে আল্লাহ তা’য়ালা বলেন ‘আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয় এটা অশ্লীল কাজ এবং মন্দ পথ।’
হজরত ওয়াইল ইবনে হুজর (রা.) বর্ণনা করেন, রসুলুল্লাহ (সা.)-এর যুগে এক মহিলাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হলে রসুলুল্লাহ (সা.) ওই মহিলাকে কোনোরূপ শাস্তি দেননি, তবে ধর্ষককে হদের (কোরআন-হাদিসে বহু অপরাধের ওপর শাস্তির কথা আছে। এগুলোর মধ্যে যেসব শাস্তির পরিমাণ ও পদ্ধতি কোরআন-হাদিসে সুনির্ধারিত তাকে- হদ বলে) শাস্তি দেন।’ -ইবনে মাজাহ: ২৫৯৮
ইসলামে ব্যভিচারের শাস্তি ব্যক্তিভেদে একটু ভিন্ন। ব্যভিচারী যদি বিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে। আর যদি অবিবাহিত হয়, তাহলে তাকে প্রকাশ্যে একশ বেত মারা হবে।
কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘ব্যভিচারিণী নারী ব্যভিচারী পুরুষ, তাদের প্রত্যেককে একশ করে বেত্রাঘাত কর। আল্লাহর বিধান কার্যকর কারণে তাদের প্রতি যেন তোমাদের মনে দয়ার উদ্রেক না হয়, যদি তোমরা আল্লাহর প্রতি ইসলামে ধর্ষণের শাস্তি ও পরকালের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে থাকো। মুসলমানদের একটি দল যেন তাদের শাস্তি প্রত্যক্ষ করে। সূরা নূর: ২।
হাদিসে বলা হয়েছে, ‘অবিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে শাস্তি একশ বেত্রাঘাত এবং এক বছরের জন্য দেশান্তর। আর বিবাহিত পুরুষ-নারীর ক্ষেত্রে একশ বেত্রাঘাত ও রজম (পাথর মেরে মৃত্যুদণ্ড)। সহিহ মুসলিম।
ধর্ষণের ক্ষেত্রে একপক্ষে ব্যভিচার সংগঠিত হয়। আর অন্যপক্ষ হয় নির্যাতিত। তাই নির্যাতিতার কোনো শাস্তি নেই। কেবল অত্যাচারী ধর্ষকের শাস্তি হবে।
আইনে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু হলে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। আর ইসলামে ধর্ষণের কারণে মৃত্যু হলে সে প্রথমে ব্যভিচারের শাস্তি পাবে। পরে হত্যার শাস্তি পাবে। হত্যা যদি অস্ত্র দিয়ে হয় তাহলে কেসাস বা মৃত্যুদণ্ড। আর যদি অস্ত্র দিয়ে না হয়, এমন কিছু দিয়ে হয়- যা দিয়ে সাধারণত হত্যা করা যায় না। তাহলে অর্থদণ্ড। যার পরিমাণ একশ উটের মূল্যের সমপরিমাণ অর্থ (বর্তমান বাজারমূল্যে প্রায় কোটি টাকা)।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
September 2025
MTWTFSS
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
3031 
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!