

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-বাংলাদেশের সরকারের কাছ থেকে করা অনুরোধে আবারও সাড়া দিয়েছে গুগল।গত বৃহস্পতিবার গুগলের ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।বিভিন্ন দেশের সরকারের কাছ থেকে গুগলের কাছে তথ্য চেয়ে যে অনুরোধ পাঠানো হয়,তা জনগণকে জানাতে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করে গুগল।প্রতি ছয় মাস অন্তর এ প্রতিবেদন প্রকাশ করে গুগল।গুগলের ট্রান্সপারেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী,এবার গুগলের কাছে বাংলাদেশ থেকে আটটি অনুরোধ যায়। আটটি অনুরোধে নয়টি অ্যাকাউন্টের তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে।গুগল তার মধ্যে ২৫ শতাংশ তথ্য সরবরাহ করেছে।চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত এ অনুরোধগুলো জানানো হয়েছে।গুগলের তথ্য অনুযায়ী,তাদের কাছে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য চাওয়ার হার বেড়েছে।২০১৫ সালের জুলাই থেকে ডিসেম্বরে প্রথমবার ৭টি অনুরোধে ১৩টি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।এরপর ২০১৬ সালে জানুয়ারি থেকে জুন এ ছয় মাসে দুটি অনুরোধে তিনটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।২০১৬ সালের শেষ ছয় মাসে তিনটি অনুরোধে তিনটি অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়া হয়েছিল।এবার মোট আটটি অনুরোধ গেছে।বিভিন্ন দেশের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট সরকারী সংস্থা,আদালত গুগলের কাছ থেকে তথ্য চেয়ে থাকে।গুগল কর্তৃপক্ষের দাবি,তারা পর্যালোচনা করে তাদের নীতিমালা অনুয়ায়ী সংশ্লিষ্ট দেশকে সেসব তথ্য দিয়ে থাকে।২০০৯ সাল থেকে গুগল এ ট্রান্সপারেন্সি প্রতিবেদন প্রকাশ করা শুরু করেছে।তাদের তথ্য অনুযায়ী,এ বছরের প্রথমার্ধে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের সরকারের পক্ষ থেকে তথ্য চাওয়ার হার আগের তুলনায় বেড়েছে।জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত গুগলের কাছে ৮৩ হাজার ৩৪৫টি অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য চেয়ে ৪৮ হাজার ৯৪১টি অনুরোধ পেয়েছে।এর মধ্যে ৬৫ শতাংশ ক্ষেত্রে তথ্য দিতে হয়েছে গুগলকে।২০১৬ সালের শেষ ৬ মাসে ৪৫ হাজার ৫৫০টি অনুরোধ এসেছিল গুগলের কাছে। তথ্যসূত্র:-(গুগল এবং প্রথম আলো)