

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-মাটির সাথে মানুষের সম্পর্ক অনেক পুরানো।ভূমিকে কেন্দ্র করেই আবর্তিত হয় একটি দেশের অর্থ সামাজিক কাঠামো।ভূমি ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক, সময়পোযোগী এবং গতিশীল করতে বর্তমান সরকারের উদ্যোগে গৃহীত হয়েছে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম।আনুমানিক প্রায় ২৮০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প একদিকে যেমন কমাবে মানুষের ভোগান্তি তেমনি রেকর্ড জালিয়াতিসহ নানা অসঙ্গতি নেমে আসবে শূন্যের কোটায়।‘ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভূমি জরিপ ও রেকর্ড প্রণয়ন এবং সংরক্ষণ’ এই প্রকল্পের আওতায় দেশের ৫৫টি জেলার সাড়ে ৪ কোটি ভূমির খতিয়ান তৈরি করার কাজ চলছে দ্রুত গতিতে।খতিয়ানের ডাটা এন্ট্রি থেকে শুরু করে সংরক্ষণ সবই করা হচ্ছে ডিজিটাল পদ্ধতিতে।ইতোমধ্যে তিনটি প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত মোট ১ কোটি ৩৫ লাখ ২২ হাজার ৫১৮টি খতিয়ানের ডাটা এন্ট্রি হয়েছে এবং ৬৫ লাখ খতিয়ান স্কান সম্পন্ন হয়েছে।কোপেনহেগেন কনসেনসাস সেন্টার সম্পাদিত একটি গবেষণাপত্র মতে বাংলাদেশের ভূমি ব্যবস্থাপনা ডিজিটালাইজেশন হলে একটি সাধারণ জমির রেকর্ড-সম্পর্কিত লেনদেনে খরচ ১,০৪৫ টাকা থেকে কমে দাঁড়াবে মাত্র ৮০ টাকায়। আর এর জন্য গ্রাহককে গুনতে হবে মাত্র ১৫ দিন সময় ।আইনি ও বেআইনি লেনদেন কমে যাওয়ার কারণে বার্ষিক প্রত্যক্ষ সুফলের পরিমাণ দাঁড়াবে ৪৮ দশমিক ২ কোটি টাকা।একটি দেশের অর্থনীতির অন্তর্নিহিত শক্তি লুকিয়ে আছে ভূমিতে। আর এই ভূমি ব্যবস্থাপনায় ডিজিটালাইজেশনের ছোঁয়া ভূমির সুষম বন্টন নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সেবাগ্রহীতাদের জন্য নিয়ে আসবে স্বস্তি এমনটিই মনে করে দেশের জনগণ।