

চট্রগ্রাম প্রতিনিধিঃ-বিএনপির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রায়কে ঘিরে সাতকানিয়ার রাজপথে বিএনপির নেতাকর্মীরা না থাকলেও সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।৮ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্পটে অবস্থান নিলেও চোখে পড়েনি বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের।এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলের সাধারণ নেতাকর্মীদের মাঝে।মাঠে সক্রিয় ছিলেন না উপজেলা বিএনপির খোদ সভাপতি শেখ মহিউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক দাবিদার মুজিবুর রহমান ও এহেসান মৌলাসহ বিএনপির পদের জন্য সক্রিয় হয়ে উঠা নেতা ও তাদের অনুসারীরা।বিভিন্ন সময় মাঠে নিজেদের আলাদা গ্রুপ নিয়ে এমনি সক্রিয় থাকলেও বৃহস্পতিবার দলের শীর্ষ নেতার রায় ঘোষণার দিন ছিলেন সাতকানিয়ায় নিষ্ক্রিয়।এসব কারণে তৃণমূল নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।তারা বলছেন,কেবল পদ-পদবি পাওয়ার জন্যই সবাই লড়াই করে।দলের জন্য কারও দরদ নেই।রায় ঘোষণার আগে ফেসবুকে সরকারের পতনসহ নানা হুংকার দিলেও প্রকৃত অর্থে তারা আন্দোলনের প্রস্তুতি নেয়নি।নাম প্রকাশ না করার শর্তে তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী বলেন,২০ দলের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত সাতকানিয়া উপজেলায় সবাই নেতা হতে চায়।তাদের লক্ষ্য পদ-পদবি দিয়ে তারা ক্ষমতা অথবা অর্থ কামাবে।১/১১ এর পর অনেকে বিএনপির দু:সময়ে দূরে ছিলেন আন্দোলন সংগ্রামে কোন ভুমিকা রাখেননি।এরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে শুধুমাত্র কমিটিতে ভালো পদ পাওয়ার জন্য।যেমন ধরুণ বৃহস্পতিবার এদের কেউ মাঠে নেই।দলের প্রয়োজনে এদের পাওয়া যাবেনা।এরা আখের গুছিয়ে সটকে পড়বে দলের কাজে আসবেনা।এরা নিজেদের ব্রিক্রি তথা আতাত করতেও পিছপা হবেনা।