

সিএইচটি টাইমস নিউজ ডেস্কঃ-মিয়ানমার সেনাবাহিনীর বর্বরতার হাত থেকে বাঁচতে পালিয়ে বাংলাদেশে এলেও নির্মমতার কাছে হেরে না ফেরার দেশে চলে গেলেন এক রোহিঙ্গা পুরুষ।শিশু চুরির অভিযোগ এনে কক্সবাজারে তাকে মাটিতে ফেলে কিল-ঘুষি,লাথি ও গাছে বেঁধে নির্দয়ভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছে উত্তেজিত একদল জনতা।ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সান বলছে,২০ জনেরও বেশি মানুষ ওই রোহিঙ্গা ব্যক্তির ওপর হামলা চালায়।হামলাকারীদের মধ্যে অনেক তরুণ ছিল।রোহিঙ্গা ওই ব্যক্তিকে গাছের সঙ্গে বাঁধার আগে প্রাণভিক্ষা চান তিনি।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা হাজার হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর আশ্রয় হয়েছে কক্সবাজারে।সেখানেই শিশু চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে প্রাণ যায় ওই রোহিঙ্গার।রোহিঙ্গা এই ব্যক্তিকে গণপিটুনির দৃশ্য ধারণ করেছেন বার্তাসংস্থা এপির এক আলোকচিত্রী।ছবিতে দেখা যাচ্ছে,চারদিক থেকে উত্তেজিত জনতা তার মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করছে।এসময় তিনি আঘাত থেকে বাঁচতে প্রাণপণ চেষ্টা চালান।গণপিটুনির একপর্যায়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি।নিস্তেজ শরীরে মাটিতে লুটিয়ে পড়েও রেহাই মেলেনি তার।পরে তাকে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে মারপিট করা হয়।ছবিতে দেখা যাচ্ছে,উত্তেজিত জনতার হাত থেকে বাঁচতে প্রাণ ভিক্ষা চান তিনি।
শেষ একটি ছবিতে দেখা যায়,নিষ্ঠুর নির্মমতার কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে পাড়ি জমান এই রোহিঙ্গা।মরদেহের চারপাশে ঘিরে রয়েছে লোকজন।মিয়ানমারের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের সংখ্যালঘু মুসলিম গোষ্ঠী রোহিঙ্গারা দেশটিতে পরিকল্পিত নিপীড়নের শিকার হয়ে তাদের নিজ ভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়েছে।বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারে দশকের পর দশক ধরে রাখাইনে নিপীড়নের শিকার হয়ে আসছে তারা।
গত ২৫ আগস্ট রাখাইনে দেশটির পুলিশ ও সেনাবাহিনীর তল্লাশি চৌকিতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলার পর কঠোর সেনা অভিযান শুরু হয়।জাতিসংঘ বলছে,রাখাইনে ‘জাতিগত নিধন’ অভিযান চালাচ্ছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী।ক্লিয়ারেন্স অপারেশনে এখন পর্যন্ত ৪ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।(((সূত্র:-দ্য সান)))