

চট্রগ্রাম প্রতিনিধিঃ-রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতাকে আরো অর্থবহ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের অবিনাশী চেতনা,দেশপ্রেম হোক সকলের চলার পথের পাথেয়।তিনি আজ রবিবার বিকালে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।দেশে ভেটেনারি চিকিৎসা সম্প্রসারণের জন্য ঢাকায় একটি অত্যাধুনিক রিসার্চ এন্ড পেট এনিম্যাল হাসপাতাল গড়ে তোলা হচ্ছে উল্লেখ করে সেখানে শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি আগামীতে দক্ষ কর্মস্থানের সম্ভাবনা বৃদ্ধিপাবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭টি অনুষদ থেকে স্নাতক সম্পন্ন করা ৮৪৪ জন,স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করা ২১৬ জন এবং ২ জন পিএইচডি সম্পন্ন করা শিক্ষার্থী আচার্যের কাছ থেকে সনদ নেন।বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড.গৌতম বুদ্ধ দাশের স্বাগত বক্তব্যের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান এবং সমাবর্তন বক্তা হিসেবে প্রেফেসর ইমেরিটাস এ কে আজাদ চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।রাষ্ট্রপতি অন্যায় ও অসত্যের কাছে মাথা নত না করার জন্য নবীন গ্র্যাজুয়েটদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন,বিবেককে বিকিয়ে দেবে না।শিক্ষাজীবন শেষ করার পর ‘বাস্তব জীবনের আসল সংগ্রাম এখন থেকেই শুরু এবং এ সনদ সেই সংগ্রামে অবতীর্ণ হবার স্বীকৃতিপত্র।রাস্ট্রপতি বলেন আমাদের কৃষিতে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।অপরিকল্পিতভাবে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ব্যবহার মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের উপরও বিরূপ প্রভাব ফেলছে।জলবায়ূ পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় গবেষক ও বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন জাত ও পদ্ধতি আবিস্কারে বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।সিভাসু’র উপাচার্য ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ’র সভাপতিত্বে সমাবর্তনে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান।সমাবর্তন বক্তা ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ইমিরেটাস ড.এ কে আজাদ চৌধুরী।