এক বছর আগেও শরীফ উদ্দিন ছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক।এখন চট্টগ্রাম নগরের ষোলশহর রেলস্টেশনের একটি দোকানের ক্যাশিয়ার।কয়েকটি দুর্নীতির মামলায় চাঞ্চল্যকর তথ্য বের করে আলোচনায় আসেন তিনি।পরে চাকরিও চলে যায় দুদকের এই কর্মকর্তার।এখন মিলছে না তার নতুন কোনো চাকরি।তাই বাধ্য হয়ে ভাইয়ের দোকানে ক্যাশিয়ারের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।
এমনটা জানিয়ে শরীফ উদ্দিন রোববার সন্ধ্যায় বলেন, ‘দুদক থেকে চাকরি যাওয়ার পর অনেক জায়গায় সিভি জমা দিয়েছি।কিন্তু দুদকের রোষানলে পড়ার ভয়ে কেউ চাকরি দিচ্ছে না।কিছু টাকা উপার্জন আর মাইন্ড ডাইভার্ট করতে এখন ভাইয়ের দোকানে বসছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি চিকিৎসকের কাছে গিয়েছিলাম।তারা আমাকে বলেছেন একটু রিলাক্স থাকার জন্য।এখন টাকা-পয়সার অনেক সমস্যায় আছি।সংসার চালাতে স্ত্রীর স্বর্ণও বিক্রি করেছি।বাবার পেনশন আর নিজের কিছু জমা টাকা শেষ করেছি।ছোট দুটো বাচ্চা আছে তাদের খরচটা তাদের নানার বাড়ি থেকে দেওয়া হয়।কিন্তু আমার তো ব্যক্তিগত কিছু খরচ আছে।তাই দোকানে বসেছি।’
জানা গেছে,এক সময়ের আলোচিত এ দুদক কর্মকর্তা পাসপোর্ট কাণ্ড,এনআইডি সার্ভার ব্যবহার করে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশি ভোটার করাসহ নানা দুর্নীতির তথ্য বের করেছিলেন।তার বেশ কয়েকটি দুর্নীতি মামলায় রাঘব বোয়ালরাও আসামি হয়েছিলেন।সবশেষ কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশনের একটি দুর্নীতি মামলায় জড়িতদের ষড়যন্ত্রে তার দুদকের চাকরি চলে যায় বলে তিনি দাবি করেছেন।
শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘চাকরি যাওয়ার পর আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছি।অনেকভাবে চাকরি ফিরে পাওয়ার চেষ্টা করেছি।কিন্তু আমার কপালে যা আছে তাই হচ্ছে।’