

সিএইচটি নিউজ ডেস্কঃ-৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায়কে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের পালাপাল্টি বক্তব্যে উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বন্দর নগরীর নিরাপত্তা বিধানে রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি তেলস্থাপনার নিরাপত্তার জন্য সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর সড়ক দুদিন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ।একেই সাথে বন্দর নগরীর নিরাপত্তা বিধানে প্রস্তুতি নেওয়ার কথা জানিয়েছে পুলিশ।এদিকে,রায়কে সামনে রেখে প্রকাশে কিংবা আত্মগোপনে থেকেই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীরা।৮ ফেব্রুয়ারিকে ঘিরে ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় রাজনীতির পাশাপাশি চট্টগ্রামের রাজনীতিতেও উত্তাপ ছড়াচ্ছে।দলের প্রথম সারির নেতারা এ নিয়ে প্রস্তুতিও সেরে ফেলেছেন।তবে আন্দোলনের প্রস্তুতি নিলেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে সতর্কতা অবলম্বন করছেন দলটির নেতাকর্মীরা।ওইদিন মহানগর,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনসমূহ আলাদা কর্মসূচি পালন করবে। নগরীর ৬টি স্পট ছাড়াও জেলার প্রায় সব থানা-উপজেলায় রায়কেন্দ্রিক কর্মসূচি পালন করা হবে। বিএনপির নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।প্রসঙ্গত, বিএনপি চেয়ারপারসনের বিরুদ্ধে জিয়া এতিমখানা দুর্নীতির মামলায় বৃহস্পতিবার ঢাকার জজ আদালতে রায় হবে।সম্প্রতি আদালত থেকে ফেরার সময় খালেদা জিয়ার বহর থেকে পুলিশের উপর হামলার ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রায়ের পরের পরিস্থিতি নিয়ে জনসাধারণের মনে উদ্বেগ রয়েছে।সেই উদ্বেগ আরও বাড়িয়ে তুলেছে রায়ে সাজা হলে বিএনপি নেতাদের আন্দোলনের হুমকি এবং সেই ধরনের চেষ্টা হলে তা মোকাবেলায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতাদের ঘোষণা।চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা.শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কেন্দ্রের নির্দেশে ৮ ফেব্রুয়ারি নগরীতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হবে।আমরা আশা করি,প্রশাসন এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা সৃষ্টি করবে না।যাতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেদিকে নজর রাখবে প্রশাসন।’ অন্যদিকে গত শনিবার নগরীর লালদিঘী ময়দানে এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর শোকসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম বৃহস্পতিবার তাদের নেতাকর্মীদের রাজপথে অবস্থান নেওয়ার আহ্বান জানান।নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, “বিএনপি-জামায়াত যাতে কোনো ধরনের অরাজকতা করতে না পারে, সেজন্য রায়ের দিন নগরীর ১৫ থেকে ১৬টি স্পটে অবস্থানে থাকবে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নোকর্মীরা।”এই পরিস্থিতিতে পুলিশের পক্ষ থেকে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, “রায় ঘোষষণাকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নাশকতা হতে দেওয়া যাবে না।আমরা বিভিন্ন স্থান থেকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছি।পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।রাষ্ট্রায়ত্ত তিনটি তেলস্থাপনাসহ বিভিন্ন নিরাপত্তার জন্য সিমেন্ট ক্রসিং থেকে বিমানবন্দর সড়ক বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নগর পুলিশ।বুধবার বিকাল থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ওই সড়কে কোনো সাধারণ যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল করতে পারবে না।