![](https://www.chttimes.com/wp-content/uploads/2022/03/Screenshot_20220307-174127_Facebook.jpg)
![](https://www.chttimes.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png)
‘জাতির পিতার কন্যা’, ‘জননেত্রী’, ‘দেশরত্ন’, ‘মাদার অব হিউম্যানিটি’—এমন অনেক বিশেষণেই ডাকা হয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। পুরনো দিনের মানুষেরা ভালোবেসে ডাকেন ‘শেখের বেটি’, আর দলের অপেক্ষাকৃত তরুণ নেতাকর্মীদের অনেকেই তাকে ‘মমতাময়ী মা’ বলেও সম্বোধন করেন। তবে ‘অতিরিক্ত প্রশংসামূলক’ বিশেষণ সবসময় বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করে যান তিনি। বিষয়টি আবারও নজরে এলো ঐতিহাসিক ৭ মার্চের আলোচনা অনুষ্ঠানে।
সোমবার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর আগে বক্তব্য দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী। তিনি ঐতিহাসিক ৭ মার্চের স্মৃতিচারণ করে দেওয়া বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে বলেন, ‘আজকে এই প্রজন্ম অনেক কিছু দেখবে, তারা উপগ্রহে কেন, ভিন্ন গ্রহেও যাবে। কিন্তু আমি তাদের বলবো, তোমরা সেই ভাষণ শুনতে পাবে না। আমাদের সেই সৌভাগ্য; যেটা আমরা পেয়েছি সেটা তোমাদের জীবনে আর আসবে না। কিন্তু তোমাদের জন্য নতুন সৌভাগ্য বঙ্গবন্ধু দিয়ে গেছেন। তারই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের জন্য রেখে গেছেন।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আজকের দিনে জয় বাংলা বলার পাশাপাশি এটুকু বলতে চাই, শেখ হাসিনার জয় হোক…।’ এ সময় প্রধানমন্ত্রী মাথা নাড়িয়ে ‘না সূচক’ ভঙ্গিমা করেন। একপর্যায়ে হাত দেখিয়েও না করেন তিনি।
এরপর অনুষ্ঠানের সঞ্চালক আলোচনায় সবশেষ সভাপতির বক্তব্য দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নাম ঘোষণার সময় বলেন, ‘এবার আমাদের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ, এবার আপনাদের সামনে দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ প্রদান করবেন আজকের সভার সভাপতি, আমাদের আস্থা ও বিশ্বাসের জায়গা, বাংলার ১৮ কোটি মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার শেষ ঠিকানা, চ্যাম্পিয়ন অব দ্য আর্থ….।’
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলে ওঠেন, ‘বিশেষণ কমাও..’। সঞ্চালক তারপরও আরও কিছু বিশেষণ বলতে থাকলে প্রধানমন্ত্রী ধমকের সুরেই বলেন, ‘রাখো না’।