শিরোনাম: বান্দরবানের প্রাচীন বৌদ্ধ অনাথালয় পরিদর্শন করলেন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড.এম সাখাওয়াত নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ইটভাটায় ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান বান্দরবানের ম্যারাথন ভিত্তিক প্রথম কমিউনিটি বান্দরবান হিল রানার্স খেলাধূলার পাশাপাশি পড়াশোনার প্রতিও শিক্ষার্থীদের মনযোগী হতে হবেঃ ডিসি শামীম আরা রিনি বান্দরবানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত রাঙামাটি চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি এর সভাপতি নির্বাচিত হলেন মামুনুর রশীদ বান্দরবানে জাতীয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট উদ্বোধন অনুষ্ঠিত গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী দেশ গড়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুনঃ ডিসি শামীম আরা রিনি

রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ায় সারাবিশ্ব বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে: প্রধানমন্ত্রী


অনলাইন ডেস্ক প্রকাশের সময় :২৯ জানুয়ারি, ২০২১ ৯:৫৭ : অপরাহ্ণ 342 Views

বৃহস্পতিবার সকালে ডিফেন্স সার্ভিসেস কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) ২০২০-২১ কোর্সের গ্র্যাজুয়েশন সেরিমনিতে অংশগ্রহণ করে তিনি এ কথা বলেন।

গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও উন্নয়নের স্বার্থে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের আশ্রয় দান এবং তারা যাতে ফিরে যেতে পারে তার ব্যবস্থার জন্য আমরা কিন্তু কারও সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বে লিপ্ত হইনি।

তিনি বলেন, আমরা মিয়ানমারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছি, আলোচনার মাধ্যমে তারা তাদের নাগরিকদের যেন ফিরিয়ে নিয়ে যায়। একটা বন্ধুত্বসুলভ মনোভাব নিয়েই আমরা এ কাজ করে যাচ্ছি।

‘তবে যারা অন্যায় করছে, নিশ্চয়ই সেটি আমরা বলব। কিন্তু তার পরও তাদের নাগরিকদের তারা ফেরত নেবে, সেটি আমরা চাই।’

সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারও সঙ্গে বৈরিতা নয়; বঙ্গবন্ধুর দেওয়া এই পররাষ্ট্রনীতির কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। আজকে কেউ-ই বলতে পারবে না যে, বাংলাদেশের সঙ্গে কোনো দেশের বৈরী সম্পর্ক আছে। আমরা সবার সঙ্গে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নিয়ে চলছি।

‘বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঐক্য উন্নয়নে বাংলাদেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রাখছে। অভ্যন্তরীণ সম্পদসহ নানাবিধ সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা বিপন্ন মানবতার ডাকে সাহায্যেরও হাত বাড়িয়েছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ বাংলাদেশের প্রাচীনতম ট্রাই সার্ভিস প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রথম বছরে ছিল ৩০ জন, তা বেড়ে ২২৫ জনে উন্নীত হয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত ৪৩টি বন্ধুপ্রতিম দেশের এক হাজার ২০৮ অফিসার এ কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন লাভ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, এই কোর্সেও ১৬টি বন্ধুপ্রতিম দেশের ৪৩ বিদেশি কর্মকর্তাসহ ২২৫ সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকর্তা প্রশিক্ষণ শেষ করে পিএসসি অর্জন করছেন।

প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ২০৪১ সালের সৈনিক হিসেবে কাজ করবেন উল্লেখ করে সরকার যেন দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে এবং দেশের ভাবমূর্তি যেন উজ্জল হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে তাদের কাজ করে যাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আশাবাদী, সামরিক বাহিনী কমান্ড ও স্টাফ কলেজ তার শিক্ষা-প্রশিক্ষণের উচ্চমানের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে। এ প্রতিষ্ঠানের গ্র্যাজুয়েটরা তাদের অর্জিত জ্ঞান, ইচ্ছাশক্তি ও অঙ্গীকারের মাধ্যমে দেশকে একটি স্থিতিশীল, টেকসই, আত্মনির্ভরশীল ও সর্বোপরি গৌরবময় অবস্থানের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে।

ট্যাগ :

আরো সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা



আর্কাইভ
February 2025
M T W T F S S
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
আলোচিত খবর

error: কি ব্যাপার মামা !!